এলিগেন্ট সিকিউরিটিজের ট্রেড সাসপেন্ড

সময়: বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২ ১:২৮:০৭ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃক এলিগেন্ট স্টক অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ট্রেড সাসপেন্ড করা হয়েছে। ফলে কয়েকদিন ধরে শেয়ার লেনদেন করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা।

জানা গেছে, বিগত দুই বছরের আর্থিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড সাসপেন্ড করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

অন্যদিকে ব্রোকারেজ হাউজটির ডিপি লাইসেন্সও নবায়নের অনুমতি দেয়নি শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

ভুক্তভোগী কয়েকজন বিনিয়োগকারী জানান, গত চার দিন আমরা শেয়ার লেনদেন করতে পারছি না। প্রতিদিন অফিসে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে। তবে আমরা জিজ্ঞেস করলেও এখানকার কর্মকর্তারা আমাদের কিছুই বলছেন না। আমরা আমাদের বিও অ্যাকাউন্ট স্থানান্তর (লিংক) করতে চাইলেও সেটি করতে পারছি না। গত রোববার থেকে আমরা এ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।

এলিগেন্ট স্টক অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা ২০২০ এবং ২০২১ সালের অডিট রিপোর্ট জমা না দেওয়ায় ডিএসই ট্রেড সাসপেন্ড করে দিয়েছে। ফলে গত কয়েকদিন এলিগেন্ট সিকিউরিটিজে শেয়ার লেনদেন বন্ধ রয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা আমাদের কাগজপত্র ডিএসইতে জমা দিয়েছি, হয়তো আগামীকাল থেকেই লেনদেন শুরু করতে পারবো।

শেয়ারবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ গণমাধ্যকে বলেন, কোন ব্রোকারেজ হাউজে লেনদেন বন্ধ থাকলে সেটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জানানো উচিৎ। এখানে বিনিয়োগকারীদের টাকা আছে, তাদেরকে ট্রেড সাসপেন্ড করার কারণ জানাতে হবে। আর কোন ব্রোকারেজের ট্রেড সাসপেন্ড করা হলে সেটি ডিএসইর জানানো উচিৎ।

তিনি আরও বলেন, ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে ডিএসইর নির্দিষ্ট সময় পর পর তদন্ত করা উচিৎ। আর বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানাধীন ব্রোকারেজ হাউজ বাছাই করা প্রয়োজন। ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে অনিয়ম বেশি হয়ে থাকে। ব্যাংক, বিমা বা ভালো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন ব্রোকারেজ হাউজগুলো তুলনামূলক নিরাপদ।

এর আগে তামহা সিকিউরিটিজ, বানকো সিকিউরিটিজ এবং ক্রেস্ট সিকিউরিটিজেরও ট্রেড সাসপেন্ড হওয়ার ফলে অনেক বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 

Share
নিউজটি ১৫৫ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged