কিছু ‘দুষ্ট লোকের’ কারণে শেয়ারবাজারে বড় পতন: বিএসইসি চেয়ারম্যান

সময়: বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৭, ২০২৩ ১:৪৭:১৩ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিসব থেকে শেয়ারবাজারে হঠাৎ করে বড় পতন দেখা দিয়েছে। প্রথম কর্মদিবস বোরবার সূচক কমেছে ১০ পয়েন্ট। আরও দরপতন হতে পারে এই ভয়ে দ্বিতীয় কর্মদিবসে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়ে। যার ফলে এদিন সূচক কমেছে ৩০ পয়েন্ট। এরপর সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস বুধবার সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট। টানা তিন কর্মদিবসে সূচক কমেছে ৮৬ পয়েন্ট। এমন অবস্থাকে অস্বাভাবিক পতন বলছেন শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা।

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘কিছু দুষ্ট লোকের কারণে গত কয়েকদিন সূচকে বড় পতন হয়েছে। উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুই-তিন দিনের ব্যাপার, শেয়ারবাজার ভালো হবে।’

তিনি বলেন, বাজারে এভাবে পতন হওয়ার কোনো কারণ নেই। এই অবস্থা থেকে উত্তোলনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, দুই-তিন দিনের ব্যাপার, শেয়ারবাজার ভালো হবে ইনশাআল্লাহ।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত তিন দিনে শেয়ারবাজারে ৮০ পয়েন্টেরও বেশি সূচক কমেছে। এটা স্বাভাবিক কোনও ঘটনা নয়, স্বাভাবিক শেয়ারবাজার হলে এই সূচক পতন হতো ৭ থেকে ৮ পয়েন্ট।

তাঁরা বলছেন, বাজারে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্যই হঠাৎ ধসে নামানো হয়েছে। নতুন এই ধসে বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারিয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আরও বেশি আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।

আগের দুই দিন মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ডিভিডেন্ডের ওপর কর আরোপের খবরে বাজারে বড় পতন হয়। অথচ বাজারে যেভাবে পতন হয়েছে, খবরটি এতোটা ভয়ঙ্কর নয়। কারণ সব ডিভিডেন্ডের ওপরই কর কর্তন করা হয়। সুতরায় মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ওপর কর আরোপ নতুন কোনো ঘটনা হয়।

পরের দিন বুধবার লেনদেনের শুরুতেই বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ (আইসিবি) সরকারি-বেসরকারি ২২ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে ভারতীয় হ্যাকাররা—এমন খবর ছড়িয়ে পরে। পরে আইসিবি এই খবরকে গুজব বলে জানালেও বিনিয়োগকারীদের ভয় কাটেনি। বিনিয়োগকৃত অর্থ হ্যাকারদের দখলে চলে যেতে পারে এই ভয়ে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি ধুম পড়ে। যা অব্যাহত ছিল দিনের লেনদেনের শেষ সময় পযন্ত। এতে দিন শেষ বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৭১ হাজার ৪৩৯ কোটি ১৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। যা নতুন সপ্তাহের শুরুতে ছিল ৭ লাখ ৭৫ হাজার ৪৯৯ কোটি ৪৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ তিন দিনে বিনিয়োগকারীদের ৪ হাজার ৬০ কোটি ৩১ লাখ ৪০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। এছাড়া চলতি মাসের ১৬ দিনে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি উধাও হয়েছে ৯ হাজার ৮৩৯কোটি ৪৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

Share
নিউজটি ২০৩ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged