৬ মাসের বেশি সময় প্রধান নির্বাহী শূন্য কোম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রয়েছে

ছয় বছরেও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পায়নি চার্টার্ড লাইফ

সময়: বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ৫, ২০১৯ ১১:২০:১১ পূর্বাহ্ণ


অনুপ সর্বজ্ঞ : নতুন ১৩টি জীবন বীমা কোম্পানির সঙ্গে ২০১৩ সালের জুনে অনুমোদন পায় চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স। তবে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছয় বছর অতিক্রান্ত হলেও কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পায়নি। দীর্ঘসময় ধরে চলতি দায়িত্বে প্রধান নির্বাহীর কাজ চালাচ্ছে এ প্রতিষ্ঠান। যদিও বীমা আইনে ৬ মাসের বেশি সময় প্রধান নির্বাহী শূন্য কোম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রয়েছে।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সদস্য বোরহান উদ্দীন আহমেদ দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিনকে বলেন, ছয় মাসের বেশি সময় প্রধান নির্বাহীর পদ শূন্য থাকলে আইনে প্রশাসক নিয়োগের বিধান আছে। তবে কোনো ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে তার কোনো রুপরেখা নেই।
বোরহান উদ্দীন বলেন, কোম্পানিটিকে প্রথম থেকেই আইন অনুযায়ী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশ দিয়ে আসছে কর্তৃপক্ষ।
বীমা আইন ২০১০’র ৮০ (৪) উপধারা অনুযায়ী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদটি তিন মাসের বেশি সময় শূন্য রাখা যাবে না। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সময়সীমা আরও তিন মাস পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। এরপরও তা মানা না হলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের জন্য আইডিআরএ কোম্পানিতে একজন প্রশাসক নিয়োগ করবে। একইসঙ্গে কর্তৃপক্ষ যা নির্ধারণ করবে সে অনুযায়ী কোম্পানি প্রশাসকের বেতন-ভাতার যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করবে।
বছরের পর বছর এভাবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদটি শূন্য রাখার কারণে সম্প্রতি চার্টার্ড লাইফকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় আইডিআরএ। যার জবাবে কোম্পানিটি জানায়, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খোঁজার চেষ্টা করেও যখন পাওয়া যায়নি, তখন এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিকভাবে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে এস.এম. জিয়াউল হকের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনায় নিয়ে তাকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অব্যবহিত নিম্নপদের অভিজ্ঞতা ছাড়া তার সকল যোগ্যতা রয়েছে। তাই ভবিষ্যতে জিয়াউল হককেই স্থায়ী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে চিন্তা করা যেতে পারে বলে জানানো হয় কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে।
তবে, কোম্পানির এ জবাব সন্তোষজনক মনে করছে না আইডিআরএ। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ২৯ জুলাই ২০১৩ থেকে এখন পর্যন্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদে কাউকে নিয়োগ দিতে পারেনি চার্টার্ড লাইফ। এভাবে টানা সাড়ে ছয় বছর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদটি শূন্য রাখা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের ব্যর্থতা ও অদক্ষতারই সামিল। অনুমোদনহীনভাবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাবিহীন কোম্পানিটি যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে তা বীমা আইন ২০১০ এর ৮০ (৪) উপধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
কোম্পানিটির চলতি দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম. জিয়াউল হক দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিনকে বলেন, আমি কয়েক মাস হলো এ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেয়েছি। আর বিষয়টি পরিচালনা পর্ষদের ওপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে আমার কিছু বলার নেই।
উল্লেখ্য, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান পদে উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছেন শাইখ সিরাজ। এছাড়া পরিচালকদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ নূর আলী, ফরিদুর রেজা সাগর, নিয়াজ আহমেদ, মো. নুরুল আকতার, গোলাম মোস্তাফা, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. রোজাউল করিম, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন খান ও শামসেদ আলী।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩১২ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged