দীর্ঘদিন পর বাজার একটি প্রাণবন্ত ছন্দে প্রবেশ করেছে : বিসএসইসি চেয়ারম্যান

সময়: বুধবার, জুন ২১, ২০২৩ ২:৩৪:৫৭ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধ্যাপক শিবলী রুবায়ত উল ইসলাম বলেছেন“ দীর্ঘদিন পর বাজার একটি প্রাণবন্ত ছন্দে প্রবেশ করেছে। কিন্তু সম্প্রতি বাজারে কিছু অস্বাভাবিক বিক্রির চাপ দেখা গেছে। আমরা মূলত ব্রোকারেজ হাউজগুলো থেকে এর কারণ শোনার চেষ্টা করেছি, কেন এটি ঘটছে।”

মঙ্গলবার (২০ জুন)¡ বিএসইসি ভবনে অনুষ্ঠিত দেশের শীর্ষস্থানীয় স্টক ডিলার-ব্রোকারদের সাথে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠকে শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা অব্যাহত রাখতে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে এই ঐক্যমত ব্যক্ত করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়ত উল ইসলাম।

শেয়ারবাজারকে চাঙ্গা ও প্রাণবন্ত করার লক্ষ্যে মৌলভিত্তির বড় মূলধনী কোম্পানিগুলোর লেনদেন বৃদ্ধি এবং তারল্য প্রবাহ বাড়ানোর বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বাজার মধ্যস্থতাকারী ডিলার-ব্রোকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত একশ দিনের মধ্যে ফ্লোর প্রাইস থেকে প্রায় শতাধিক কোম্পানির শেয়ার ওপরে উঠে স্বাভাবিক লেনদেনে ফিরেছে। কিন্তু সেল প্রেসারের কারণে কোম্পানিগুলোর মধ্যে কিছু শেয়ার গত দুই সপ্তাহে আবার ফ্লোর প্রাইসে ফিরে এসেছে।

এমন অস্থিরতার মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের শেয়ারবাজারে দৈনিক লেনদেনও অর্ধেকে নেমে গেছে। বাজারের স্বাভাবিক ছন্দ কিভাবে পুনরুদ্ধার করা যায় এবং মৌলভিত্তির বড় মূলধনী কোম্পানিগুলোর শেয়ার কিভাবে ফ্লোর প্রাইস ভেদ করে স্বাভাবিক লেনদেনে ফিরিয়ে আনা যায়, বৈঠকে সেসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে বিএসইসি চেয়ারম্যান জানান।

বৈঠকে মৌলভিত্তির শক্তিশালী কোম্পানিগুলোর শেয়ার দীর্ঘদিন যাবত ফ্লোরে আটকে আছে। বিনিয়োগকারীরা এসব ব্লু-চিপ কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না। অথচ ছোট মূলধনী দুর্বল কোম্পানিগুলোর শেয়ার ফ্লোর প্রাইস অতিক্রম করে স্বাভাবিক লেনদেনে ফিরেছে, এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোর শেয়ার ফ্লোর প্রাইস ভেদ করে যেন স্বাভাবিক লেনদেনে ফিরতে পারে, সেসব ক্ষেত্রে করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, চলতি বছরের শুরুতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ভাল পারফরম্যান্সকারী কোম্পানিগুলির শেয়ারের জন্য মার্জিন ঋণের নিয়ম শিথিল করেছে। এছাড়াও তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বিতরণ না করা ডিভিডেন্ড থেকে বাজার স্থিতিশীলতা তহবিল গঠন করা হয়েছে। যা থেকে বাজারকে সাধ্যমতো সার্পোট দেয়া হচ্ছে।

এদিকে, বাজার মধ্যস্থতাকারীদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের বিপরীতে প্রভিশন কম রাখার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সহায়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন মুদ্রানীতিতে শেয়ারবাজারকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশেষ সহায়তা প্রদান করেছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্ণর বন্ড মার্কেটকে চাঙ্গা করার কথা ঘোষণা করেছেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বাজারের অংশগ্রহণকারীদের অনেকের কাছে তাদের বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত তহবিল রয়েছে। তিনি ব্রোকার-ডিলারদের বাজারের স্বাভাবিক ছন্দ পুনরুদ্ধারে সার্বিকভাবে সহায়তা করার জন্য ডিলার-ব্রোকারদের আরও শক্তিশালী ভূমিকা নেয়ার অনুরোধ জানান।

 

 

Share
নিউজটি ১৪০ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged