দেশের বীমা পলিসি ডিজাইনে কাজ করতে চায় মিলিমান

সময়: বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২০ ৮:৪৯:৫৮ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বীমা পলিসি ডিজাইনে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যাকচুয়ারিয়াল ফার্ম মিলিমান। গত মঙ্গলবার হোটেল প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে দেশের ৩২ জীবন বীমা কোম্পানির ২৫ জন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে এ বিষয়ে একটি কর্মশালা করে প্রতিষ্ঠানটি। এদেশে মিলিমানের পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন ইন্স্যুরেন্স ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটির (আইডিআরএ) সাবেক সদস্য সুলতান উল আবেদীন মোল্লা।
কর্মশালায় মিলিমানের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন তাদের মুম্বাই অফিসের প্রতিনিধি সংকেত কাওথার ও হিরক বসু। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সিঙ্গাপুর অফিসের প্রতিনিধি কার্লস কার্নিয়ারো।

কর্মশালায় জীবন বীমা ব্যবস্থায় অ্যাকচুয়ারিয়াল বিজ্ঞানের প্রয়োগ, পলিসির উদ্ভাবন ও প্রচলন, মূলধন ব্যবস্থাপনা ও সম্পদবৃদ্ধি নিয়ে দু’টি পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মিলিমানের প্রতিনিধিরা। এছাড়াও এ দেশের অ্যাকচুয়ারিয়াল অ্যাক্টিভিটিজ নিয়ে উপস্থিত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা।

বৈঠক শেষে মিলিমানের মুম্বাই অফিসের প্রতিনিধি সংকেত কাওথার শেয়ারবাজার প্রতিদিনকে বলেন, ভারতের প্রায় সব জীবন বীমা কোম্পানিই বছরে ৩০ থেকে ৪০ টি নতুন পলিসি বাজারে নিয়ে আসছে। আমরা চাই এদেশেও বীমা পলিসির আধুনিকায়ন এবং সম্প্রসারণ ঘটুক। এছাড়া স্কলারশিপের মাধ্যমে বাংলাদেশে অ্যাকচুয়ারি তৈরিতেও ভূমিকা রাখবে মিলিমান।

বাংলাদেশে মিলিমানের পরামর্শক ও আইডিআরএ’র সাবেক সদস্য সুলতান উল আবেদীন মোল্লা দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিনকে বলেন, এদেশে অ্যাকচুয়ারির সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্য। তাই মিলিমান যদি এদেশে কাজ করে তাহলে তা অবশ্যই আমাদের জন্য ইতিবাচক।

উল্লেখ্য, জীবন বীমা কোম্পানির ব্যবসায়িক চিত্র পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অ্যাকচুয়ারিয়াল ভ্যালুয়েশনের বেসিস তৈরি করেন একজন অ্যাকচুয়ারি (সম্পদ ও দায় নিরূপনকারী)। এছাড়া জীবন ও সাধারণ উভয় ধরণের বীমা প্রতিষ্ঠানের পলিসি ডিজাইন করেন তারা। বীমা ব্যবসায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সত্বেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে অনুমোদন প্রাপ্ত মাত্র একজন অ্যাসোসিয়েট অ্যাকচুয়ারি সোহরাব উদ্দীনকে দিয়ে কাজ চালাচ্ছে বীমা কোম্পানিগুলো।
আইডিআরএ বলছে, অ্যাসোসিয়েট সোহরাব উদ্দীন ছাড়াও দেশে বর্তমানে দু’জন পূর্ণাঙ্গ অ্যাকচুয়ারি আছেন। তাদের একজন আইডিআরএ’র সাবেক চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ। আরেকজন হলেন প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর হালিম। এরমধ্যে বীমা কোম্পানিগুলোর ভ্যালুয়েশনের জন্য শুধু সোহরাব উদ্দিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে অনুমোদন নিয়েছেন।
এদিকে ২০১১ সালে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ গঠিত হওয়ার পর বিদেশি অ্যাকচুয়ারি নিয়োগে কিছু শর্তারোপ করায় বাংলাদেশে কাজ করা ছেড়ে দিয়েছেন আরেক প্রবাসী অ্যাকচুয়ারি আফসার উদ্দিন আহমেদ। বিদেশে থাকলেও আগে তিনি বাংলাদেশি বীমা কোম্পানিগুলোকে ভ্যালুয়েশন সেবা দিচ্ছিলেন। তবে ২০১১ সালের পর বিদেশি, প্রবাসী কিংবা অনাবাসী কোনো অ্যাকচুয়ারি বাংলাদেশে সেবা দেয়ার জন্য অনুমোদন চাননি।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩২১ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged