সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন

ধারাবাহিক দরপতনেও আশাবাদী বিনিয়োগকারীরা, বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা

সময়: বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৯, ২০২৫ ৭:২২:৫০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা দরপতনের মধ্যেও বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজার নিয়ে আশাবাদী রয়েছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে কিছুটা উত্থান দেখা গেলেও পরবর্তী চার কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজারে সূচক ধারাবাহিকভাবে কমেছে। একই সময়ে বাজার মূলধন হ্রাস পেয়েছে প্রায় ১১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা।

তবে বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সূচকের এমন ওঠানামা বাজারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ। তারা বলছেন, বাজারে টানা পতনের পরপরই পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা তৈরি হয়, তাই আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি না করাই বিচক্ষণতা।

📊 সপ্তাহজুড়ে সূচক পতন, বিনিয়োগকারীদের কৌশলগত অবস্থান
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও দুপুরের পর থেকে বাজারে ব্যাপক বিক্রির চাপ দেখা দেয়। দুপুর সোয়া ১২টার পর থেকে সূচকের একটানা পতন শুরু হয়, যা দিনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

দিনশেষে ডিএসইএক্স সূচক ৫৪.১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৫,২৮৩.৭১ পয়েন্টে।
অন্যান্য সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ১৪.৯১ পয়েন্ট কমে ১,১৩৪.২৬ পয়েন্টে, আর ডিএসই-৩০ সূচক ১৮.৪৯ পয়েন্ট কমে ২,০৩৩.০৪ পয়েন্টে অবস্থান নেয়।

বাজারে মোট ৩৯৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ৭২টির দর বেড়েছে, ২৯২টির দর কমেছে, এবং ৩৪টির দর অপরিবর্তিত ছিল।

💰 লেনদেন কমলেও বাজারে স্থিতিশীলতা প্রত্যাশা
দিনশেষে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫৩০ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার টাকার, যা আগের কর্মদিবসের ৬১১ কোটি ৮৭ লাখ টাকার তুলনায় প্রায় ৮১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা কম।
বিশ্লেষকদের মতে, বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি না করায় লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে, তবে এটি বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরার ইঙ্গিত হতে পারে।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এদিন লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৬১ লাখ টাকার, যা আগের দিনের ৮ কোটি ৩১ লাখ টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৩টির দর বেড়েছে, ১৪০টির দর কমেছে, এবং ২১টির দর অপরিবর্তিত ছিল। দিনশেষে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০৬.৬২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪,৯৩৯.৬৭ পয়েন্টে।

📈 বিশ্লেষকদের মন্তব্য
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, “শেয়ারবাজারে টানা পতন যেমন স্বাভাবিক, তেমনি পতনের পর পুনরুদ্ধারও স্বাভাবিক বিষয়। দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগকারীরা ধৈর্য ধরে থাকলে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।”

তারা আরও মনে করছেন, অক্টোবর মাসে বিভিন্ন কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণার ধারা শুরু হলে বাজারে ইতিবাচক মনোভাব ফিরে আসবে। ডিভিডেন্ড মৌসুমে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ায় বাজারে নতুন লেনদেনের গতি সঞ্চার হয়, যা সূচক পুনরুদ্ধারে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

 

 

Share
নিউজটি ৭ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged