পরিচালকদের হাতে ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই নর্দার্ন জুটের

সময়: সোমবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯ ৯:১২:২৮ পূর্বাহ্ণ


সাইফুল শুভ : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির পরিচালকদের হাতে। এরপরও কোম্পানির তরফ থেকে পরিচালকদের শেয়ার বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ নেই বলে জানা যায়। এদিকে কোম্পানির অবস্থা ভালো না থাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও অনেক আগেই তাদের শেয়ার ছেড়ে দিয়েছে।

জানা যায়, ৩১ আগস্ট ২০১৯ পর্যন্ত কোম্পানির পরিচালকদের হাতে ২১.০৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। বাকি ৭৮.৯১ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। এছাড়া বর্তমানে কোম্পানিটিতে বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক বা বিদেশি কোনো বিনিয়োগ নেই। কোম্পানির আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় ‘ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’ (আইডিবি)-ও তাদের বিনিয়োগ তুলে নিয়েছে।

এদিকে যেসব কোম্পানির পরিচালকদের এককভাবে ২ শতাংশ এবং উদ্যোক্তা ও পরিচালকের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ নেই; তাদের শেয়ার ধারণের জন্য ৩০ কার্যদিবস সময় দেয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে সেই সময় পার হয়েছে। এখন আলোচ্য সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো তাদের ব্যর্থ পরিচালককে সরিয়ে নতুন পরিচালক অন্তর্ভুক্ত করেছে কি না Ñতা জানতে চাওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্টক এক্সচেঞ্জ কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়েছে। কোম্পানিগুলো থেকে তথ্য পাওয়ার পরে ডিএসই তা বিএসইসিকে প্রদান করবে। ডিএসইর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিএসইসি পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিএসইসি গত ২১ মে ২ সিসি এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর ক্ষমতা বলে এ সংক্রান্ত নোটিফিকেশন সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এ বিষয়ে কোম্পানি সচিব শাহাদাত হোসেন পাটোওয়ারী ‘দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন’- কে বলেন, ‘আইডিবি তাদের বিনিয়োগ তুলে নেয়ার কারণে তাদের শেয়ারহোল্ডিং কমে যায়। কোম্পানি চেষ্টা করছে পরিচালকদের শেয়ার বাড়ানোর জন্য। ৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান খুঁজছে, যাতে পরিচালক বানিয়ে ৩০ শতাংশ পূর্ণ করা যায়। এ বিষয়ে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নেবে।’

৩০ শতাংশ পূরণ না হওয়ায় বিএসইসির কাছে সময় চাওয়া হয়েছে কি-না জানতে চাইলে কোম্পানির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) উজ্জ্বল কান্তি ধর শেয়ারবাজার প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিএসইসি-কে জানানো হয়নি বা সময়ও চাওয়া হয়নি। এটি কোম্পানির পরিচালকদের বিষয়।’

নর্দার্ন জুটের পরিশোধিত মূলধন মাত্র ২ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। ২০১৪ সালে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ শেয়ার, ২০১৫ সালে ২০ শতাংশ নগদ, ২০১৬ সালে ৫ শতাংশ নগদ, ২০১৭ সালে ২০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। ২০১৮ সালে কোনো লভ্যাংশই দেয়নি।

১৯৯৪ সালে পাট খাতের এ কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। ৩১ আগস্ট ২০১৯ পর্যন্ত কোম্পানির পরিচালকদের হাতে ২১.০৯ শতাংশ এবং বাকি ৭৮.৯১ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

সর্বশেষ গতকাল রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) নর্দার্ন জুটের শেয়ারের দর ৪৭ টাকা ৮০ পয়সা কমে ৯৭২ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়। বর্তমানে কোম্পানির শেয়ারের প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) ৭৫.১৬ টাকা। কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা মাত্র ২১ লাখ ৪২ হাজার।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৫৭৯ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged