editorial

পুঁজিবাজার নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক এবং বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা

সময়: বুধবার, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯ ১২:১৫:৫৩ অপরাহ্ণ


মন্দা বাজারের গতি ফেরাতে গত সোমবার পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী পুঁজিবাজারের বর্তমান মূল সমস্যা এবং সেগুলো সমাধানে সরকারের করণীয় বিষয়ে গণমাধ্যমে তেমন কিছু না বললেও পুঁজিবাজার নিয়ে সরকারের প্রত্যাশার কথা বলেছেন এবং বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করার জন্য দুয়েকটি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন। কিন্তু সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সরকারের এতসব ভালো ভালো কথা কতটা আমলে নেবেন বা নিয়েছেন এবং এগুলো শেষ পর্যন্ত কতটা যথাযথ বাস্তবায়িত হবে Ñএ নিয়ে সংশয় কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। কারণ গত ২০১০ সালের ধসের পর পুঁজিবাজার নিয়ে বহু কথা হয়েছে, সেগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি এবং বিনিয়োগকারীদেরও আগের সেই আস্থা ফিরেনি।

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে পুঁজিবাজারের বর্তমান মন্দাবস্থার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সাংবাদিকদের চারটি কারণের কথা জানিয়েছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও বিএসইসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। সেগুলো হচ্ছে- বাজারে ভালো আইপিও না আসা, নিরীক্ষা প্রতিবেদন নির্ভরযোগ্য না হওয়া, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা ও ব্যাংকিং খাতের নাজুক অবস্থা।

এদিকে পুঁজিবাজার নিয়ে অর্থমন্ত্রীর এই দীর্ঘ বৈঠকের পরও গতকাল মঙ্গলবার বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। গতকাল ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট কমেছে। তবে টাকার অঙ্কে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দুঃশ্চিন্তা কমেনি এবং বাজারের গুণগত পরিবর্তনে এই বৈঠক আদৌ কোনো প্রভাব ফেলবে কি নাÑ এতেও তারা সন্দিহান।

ওইদিনের বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বাজারে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা দূর করা হবে। যাতে করে পুঁজিবাজার দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল থাকে। আমরা পুঁজিবাজারে সুশাসন এবং অর্থনীতির সাথে ভারসাম্য রেখে পুঁজিবাজারকে গতিশীল দেখতে চাই। এখন থেকে আইনি কাঠামোগুলো ঠিক করে ন্যায়বিচার করা হবে। যেসব কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে, তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে যেসব কোম্পানির কারখানা বন্ধ, উৎপাদনে নেই, জেড ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে- তাদের আর্থিক অবস্থা তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি সারাবছর এ ধরনের কোম্পানিগুলোকে পর্যবেক্ষণ করবে। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোকে শেয়ার বাজারে আনার বিষয়েও পুনরায় জোর দিয়েছেন তিনি।

Share
নিউজটি ৩০০ বার পড়া হয়েছে ।