কমেছে ব্যবসা, বেতন-ভাতা অনিয়মিত

তথাপি ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনছে নতুন ৩ বীমা কোম্পানি

সময়: রবিবার, অক্টোবর ১৩, ২০১৯ ১০:০৬:২৬ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : গত পঞ্জিকা বছরে নতুন তিন বীমা কোম্পানির ব্যবসা কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে ‘স্বদেশ লাইফ ইন্স্যুরেন্স’-এর। ব্যবসা কমার দিক থেকে এর পরেই রয়েছে ‘যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স’ ও ‘ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স’। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, শুরুতেই প্রারম্ভিক মূলধন শেষ করেছে ফেলেছে বীমা কোম্পানিগুলো। ব্যবসা মন্দা থাকায় বন্ধ হচ্ছে শাখা। কিন্তু এরপরও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনেছে এসব কোম্পানি। কোম্পানিগুলো অফিসের কর্মকর্তা ও কমচারীদের বেতন-ভাতাও নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছে না।

আইডিআরএ সূত্রে জানা গেছে, বীমা কোম্পানির যেকোনো ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার অনুমোদনের বিধান রয়েছে। কিন্তু কোম্পানিগুলো গাড়ি কিনতে যে ঋণ নিয়েছে, তার কোনো অনুমোদন দেয়নি আইডিআরএ।

এ প্রসঙ্গে আইডিআরএর সদস্য বোরহান উদ্দীন আহমেদ ‘দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন’-কে বলেন, ‘২০১৭ সালের তুলনায় নতুন এ কোম্পানিগুলোর ব্যবসা অত্যন্ত খারাপ। প্রতিযোগিতার এ বাজারে ভালো ব্যবসা করতে না পারলে তারা টিকে থাকতে পারবে না। তবে অর্থমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী একিভূত হবার সুযোগ তাদের রয়েছে।’

জানা যায়, ২০১৮ সালে ‘স্বদেশ লাইফ ইন্স্যুরেন্স’-এর গ্রস প্রিমিয়াম আয় দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকায়, যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। বীমা ব্যবসায় এ কোম্পানির মার্কেট শেয়ার মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। ২০১৭ সালে যা ছিল শূন্য দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

নতুন কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্যবসা কমার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ‘যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স’। গত বছর (২০১৮ সাল) বীমা কোম্পানিটির গ্রস প্রিমিয়াম আয় দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৪২ লাখ টাকায়। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। বীমা ব্যবসায় এ কোম্পানির মার্কেট শেয়ার শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। ২০১৭ সালে যা ছিল শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ।
ব্যবসা কমার দিক থেকে এর পরেই রয়েছে ‘ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স’। গত বছর (২০১৮ সাল) বীমা কোম্পানিাটর গ্রস প্রিমিয়াম আয় দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকায়। যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। বীমা ব্যবসায় এ কোম্পানির মার্কেট শেয়ার শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ। ২০১৭ সালে যা ছিল শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ।

উল্লেখ্য, দেশের যেসব বীমা কোম্পানি এখনো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি সেসব কোম্পানিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে যেসব কোম্পানি শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হতে পারবে না তাদের লাইসেন্স প্রাথমিকভাবে সাময়িক বাতিল করা হবে। সম্প্রতি দেশের সকল বীমা কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকে শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে বীমা খাতের উদ্যোক্তারাও একমত হয়েছেন বলে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান। তবে লাইসেন্সের ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে একাধিক কোম্পানি মিলে একীভূত হওয়ার সুযোগ পাবে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এ অবস্থায় ব্যবসা কমে যায়া নতুন এ বীমা কোম্পানিগুলোর একিভূত হওয়া ছাড়া বিকল্প আর কোনো পথ নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Share
নিউজটি ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged