প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ডিজিটাল ব্যাংকে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত

সময়: সোমবার, আগস্ট ১৪, ২০২৩ ৯:০৩:৩৪ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ডিজিটাল ব্যাংকে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রগতি ইন্স্যুরেন্স সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

কয়েকটি কোম্পানি মিলে গঠিত একটি কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে এই ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হবে।

প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ ওই কনসোর্টিয়ামে যোগ দেওয়া ও প্রস্তাবিত ব্যাংকে স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার হিসেবে থাকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রোববার (১৪ আগস্ট) অনুষ্ঠিত প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদের ৩১৭তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, প্রস্তাবিত ব্যাংকের নাম হবে প্রগতি ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি (চৎধমধঃর উরমরঃধষ ইধহশ চখঈ)। এর পরিশোধিত মূলধন থাকবে ১২৫ কোটি টাকা।

এতে প্রগতি ইন্স্যুরেন্স পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশ তথা ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা যোগান দেবে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে আলোচিত সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

উল্লেখ, ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহীদের কাছ থেকে আগামী ১৭ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই আবেদন সম্পূর্ণ অনলাইনে করা যাচ্ছে।

অনলাইনে আবেদন জমা নেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে আলাদা একটা পাতা খুলেছে। সেখানে গিয়ে আগ্রহীরা আবেদন জমা দিতে পারবেন। আবেদন ফি বাবদ বাংলাদেশ ব্যাংককে অফেরতযোগ্য পাঁচ লাখ টাকা জমা দিতে হবে।

একেকটি ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের জন্য ন্যূনতম মূলধন লাগবে ১২৫ কোটি টাকা। প্রচলিত ধারার ব্যাংক করতে প্রয়োজন হয় ৫০০ কোটি টাকা।

ডিজিটাল ব্যাংকের প্রত্যেক উদ্যোক্তাকে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা মূলধন জোগান দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক লাইসেন্স বা সনদ দেয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে এই ব্যাংককে দেশের পুঁজিবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার ছাড়তে হবে।

আইপিওর পরিমাণ হতে হবে উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক অবদানের ন্যূনতম পরিমাণের সমান।

এই ব্যাংক স্থাপনে উদ্যোক্তাদের অর্ধেককে হতে হবে প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং, উদীয়মান প্রযুক্তি, সাইবার আইন ও বিধিবিধান বিষয়ে শিক্ষা, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন।

বাকি অর্ধেককে হতে হবে ব্যাংকিং, ই-কমার্স এবং ব্যাংকিং আইন ও বিধিবিধান বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন।

ডিজিটাল ব্যাংককে কোম্পানি আইন অনুযায়ী প্রচলিত ব্যাংকের মতো সময়ে সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ন্যূনতম নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর) বজায় রাখতে হবে।

কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি ব্যক্তি বা তার পরিবারের কোনো সদস্য প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না।

এক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ কতজন পরিচালক হতে পারবেন, তা ঠিক করা হবে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী।

ডিজিটাল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) ব্যাংকিং পেশায় কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে- যার মধ্যে প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং, রেগুলেশন, গাইডলাইন, সার্কুলার ইত্যাদি ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

গ্রাহকদের লেনদেনের সুবিধার্থে ডিজিটাল ব্যাংক ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড ও অন্য কোনো উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক পণ্য দিতে পারবে। লেনদেনের জন্য কোনো প্লাস্টিক কার্ড দিতে পারবে না।

অবশ্য এই ব্যাংকের সেবা নিতে গ্রাহকরা অন্য ব্যাংকের এটিএম, এজেন্টসহ নানা সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। ডিজিটাল ব্যাংক কোনো ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারবে না।

বড় ও মাঝারি শিল্পেও কোনো ঋণ দেয়া যাবে না। শুধু ছোট ঋণ দিতে পারবে।

 

 

Share
নিউজটি ১৬৭ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged