প্রস্তাবিত বাজেটকে ডিএসই’র অভিনন্দন

সময়: শনিবার, জুন ১১, ২০২২ ৪:১১:৪০ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। প্রস্তাবিত বাজেটকে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনারই বহিঃপ্রকাশ উল্লেখপূর্বক অভিনন্দন জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ডিএসই প্রস্তাবিত বাজেটকে অভিনন্দন জানায়।

এর আগে ওই দিন বিকালে জাতীয় সংসদে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

ডিএসইর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবারের বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রন, কৃষি খাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষা খাতসহ বেশ কিছু খাতকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে৷
এছাড়াও অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যে বহুল কাঙ্খিত পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক সম্ভবানাও কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে৷ যা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনারই বহিঃপ্রকাশ৷

প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের পর পরই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের সভায় প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা করা হয়৷

ডিএসই মনে করে যে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি, উন্নয়ন ও উৎপাদনমূখী কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থনীতিকে গতিশীল করার কৌশল নিয়ে প্রস্তাবিত বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে৷ ২০২২-২৩ অর্থবছরে উন্নয়ন ও উৎপাদনমূখী যে সু-পরিকল্পিত কর্মপন্থা ও ব্যবস্থাপনা কৌশল বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে, সে জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বাজেট প্রস্তাবনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে৷

ডিএসই বলেছে, প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের অধিক শেয়ার আইপিও’র মাধ্যমে হস্তান্তর হলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য করহার ২২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে৷ এতে বাংলাদেশের বৃহৎ এবং স্বনামধন্য কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে। তবে ১০ শতাংশ বা তার কম শেয়ার আইপিও এর মাধ্যমে হস্তান্তরকারী লিস্টেড কোম্পানির কর হার ২২.৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যা শেয়ারবাজারে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে৷

শেয়ারবাজারকে সম্প্রসারিত ও গতিশীল করার জন্য শেয়ারবাজারের প্রতি সরকারের বিশেষ গুরুত্বারোপকে ডিএসই বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছে৷ শেয়ারবাজারকে ঘিরে সরকারের এই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের ফলে দেশের শিল্পায়নের গতি তরান্বিত হওয়ার মাধ্যমে শেয়ারবাজার আরও বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে ডিএসই মনে করে।

প্রস্তাবিত বাজেটে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আধুনিক শেয়ারবাজারের বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্ট যথা: ট্রেজারি বন্ড, সুকুক, ডেরিভেটিভ, এসএমই ও এটিবি বোর্ড চালু করা, ইটিএফ চালু করা, ওপেন ইন্ড মিউচুয়্যাল ফান্ড তালিকাভুক্ত করা, শেয়ারবাজারের সহায়ক ইকোসিস্টেম ও সার্বিক সুযোগ সুবিধার উন্নয়ন এবং স্টক এক্সচেঞ্জকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য আগের বছরের বাজেটের শেয়ারবাজারবান্ধব নীতি বলবত রাখায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ অর্থমন্ত্রীকে আবারো অভিনন্দন জানাচ্ছে।

 

Share
নিউজটি ২৪১ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged