ফের বাড়ছে লোকসানি কোম্পানির শেয়ার দর

সময়: মঙ্গলবার, জানুয়ারি ৭, ২০২০ ৩:৩৩:৪৯ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা দরপতনের পর কয়েকদিন ধরে শেয়ারবাজারে সূচকের পাশাপাশি লেনদেনে কিছুটা গতি ফিরছে। আর এমন মুহূর্ত বাজারে ফের বাড়ছে লোকসানি কোম্পানির শেয়ার দর। ঊর্ধ্বমুখী বাজারে লোকসানি কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ায় সংশয়ে রয়েছে বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্টরা।

জিলবাংলা সুগার মিলস লিমিটেড। কোম্পানিটির পুঁঞ্জিভূত লোকসানের পরিমাণ ৩৭০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। লোকসানে থাকায় শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হয়ে দীর্ঘ দিন ধরে কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার গতকাল রোববার ৩১ টাকা ৯০ পয়সায় বেচাকেনা হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি।

শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে গতকাল ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানির প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৪ টাকা ৮০ পয়সা লেনদেন হয়েছে। অথচ কোম্পানিটির পুঁঞ্জিভূত লোকসানের পরিমাণ ৪৩৯ কোটি টাকার বেশি। লোকসানে থাকার কারণে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে।

শুধু শ্যামপুর সগার বা জিলবাংলা নয়, ঊর্ধ্বগতি বাজারে এমন অনেক লোকসানি কোম্পানির দর বাড়ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারবাজারে মন্দা পরিস্থিতিতে ছিল। সর্বশেষ টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাজারের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বেশ কিছু নির্দেশনা রয়েছে। এর মধ্যে আছে স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে তাদের বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এসব কারণে বাজারে দরপতন থেমেছে। বাজার গতিশীল হওয়ার চেষ্টা করছে। আর এমন মুহূর্তে লোকসানি কোম্পানির দর বৃদ্ধি ভালো লক্ষণ নয়। কারণ অতীতেও বাজার যখন গতিশীল হওয়ার চেষ্টা করেছে ঠিক তখন লোকসানি এবং দুর্বল কোম্পানির শেয়ার বাজারকে অস্থিরতার দিকে নিয়েছে। ফের লোকসানি কোম্পানিগুলোর দর বৃদ্ধির মাধ্যমে বাজারকে অস্থির করবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। লোকসানি ও দুর্বল কোম্পানির দর বাড়ানোর পেছনে কোনো চক্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত।

এ সম্পর্কে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবদুর রাজ্জাক বলেন, বড় ধরনের পতনের পর বাজার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তবে লোকসানি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিষয়টি ভালো লক্ষণ নয়। এসব কোম্পানির দর বাড়ানোর পেছনে কেউ জড়িত কিনা তা নিয়ন্ত্রক সংস্থার খতিয়ে দেখা উচিত।

বাজারে টানাদরপতনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমে ৪ হাজার ৬৮ পয়েন্টে ঠেকেছিল। সেখান থেকে গত কয়েকদিন বেড়ে গতকাল তা ৪ হাজার ৫২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গতকাল ডিএসই’তে লেনদেন হয়েছে ৪৭৪ কোটি টকার বেশি। নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হতে থাকলে বাজার ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতায় রূপ নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ২৯২ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged