নিজস্ব প্রতিবেদক : আবারও শেয়ারবাজারের মন্দাবস্থায় পূণ:রায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সিকিউরিটিজ দর কমার সর্বোচ্চ সীমা ২% করল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যা আগামীকাল থেকে কার্যকর। ফলে আজকের ক্লোজিং প্রাইসের উপর ভিত্তি করে কাল সর্বোচ্চ ২% কমতে পারবে।
বুধবার (২৫ মে) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সাক্ষরিত এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এর আগে গত ৮ মার্চ শেয়ারবাজারের নেতিবাচক অবস্থা সামলাতে দর কমার সর্বোচ্চ সীমা ১০% থেকে কমিয়ে ২% করেছিল কমিশন। যা পরিবর্তন করে ২০ এপ্রিল ৫% করেছিল। আজ ৫% থেকে কমিয়ে ২% এ নামিয়ে আনা হল।
এরও আগে ২০২১ সালে সর্বোচ্চ পতনের ২% সীমা বেঁধে দিয়েছিল কমিশন। ওই বছরে ১ম ও ২য় দফায় ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া কোম্পানিগুলোর উপর এই সীমা আরোপ করা হয়েছিল।
২০২০ সালে দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলো শেয়ার বাজারে ভয়াবহ ধস নামে। শেয়ারবাজারে পতন ঠেকাতে ওই বছরের ১৯ মার্চ সে সময়ের কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়।
এরপরে ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ১ম দফায় ৬৬টি ও ৩ জুন ২য় দফায় ফ্লোর প্রাইসে থাকা বাকি ৩০ কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয় কমিশন। ওইসময় ফ্লোর তুলে নেওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার এক দিনে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ কমতে পারবে বলে জানায় কমিশন। তবে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে আগের মতোই ১০ শতাংশ সীমা বহাল রাখে। এরপরে ১৭ জুন সব সিকিউরিটিজের উপর স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার আরোপ করে।
উল্লেখ্য, দর পতনের ক্ষেত্রে ২% এর নতুন নির্দেশনার আগে ২০০ টাকার মধ্যে থাকা সিকিউরিটিজের উত্থান-পতনের সীমা (সার্কিট ব্রেকার) ১০ শতাংশ ছিল। অর্থাৎ যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বা ইউনিটের দাম ২০০ টাকার মধ্যে, সেসব শেয়ার বা ইউনিটের দাম একদিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে।
সার্কিট ব্রেকারের অন্য নিয়মগুলো – ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে থাকা সিকিউরিটিজের সার্কিট ব্রেকার ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ, ১০০০ থেকে ২০০০ টাকার সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ২০০০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকার সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৫ শতাংশ ও ৫০০০ টাকার ওপরে সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।