বিএসইসির শর্ট সেলের নোটিশ সিটি ব্যাংকের কারণে বিপাকে ব্রোকাররা

সময়: বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২, ২০২০ ১২:০১:৩৩ পূর্বাহ্ণ


সাইফুল শুভ : সিটি ব্যাংক লিমিটেডের লেনদেন জটিলতায় বিপাকে পড়েছে অনেক ব্রোকারেজ হাউজ। ব্যাংকিং সফটওয়্যার উন্নয়নের জন্য গত ১১ নভেম্বর সিটি ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ ছিল। ওইদিন সিটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট আছে এমন অনেক ব্রোকারেজ হাউজ শেয়ার ক্রয় করেও নির্ধারিত সময়ে টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। ফলে মেয়াদ পূর্তির দিনে না বুঝে অনেকেই শেয়ার বিক্রি করায় শর্ট সেলের দায়ে পড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) শর্ট সেলের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে ডিএসই সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজ হাউজগুলোকে চিঠি দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কোনো ব্রোকারেজ হাউজ প্রকাশ্যে কথা বলতে না চাইলেও তারা এ বিষয়ে বিএসইসি‘র ইতিবাচক মনোভাব আশা করছেন।

এদিকে বিএসইসি’র পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে ব্রোকারেজ হাউজগুলো যদি সঠিক কারণ ব্যাখ্যা দিতে পারে- তাহলে শর্ট সেলের দায় তাদের উপর বর্তাবে না। তবে কেউ যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এ সুযোগ নিয়ে থাকে তাহলে দায় নিতে হবে।

জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর সিটি ব্যাংক তাদের সফটওয়্যার উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন নিয়ে সব অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধ রাখার নোটিশ দেয়। কিন্তু স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) সঙ্গে সমন্বয় না করার কারণে এ সমস্যা হয়েছে।

ব্রোকারেজ হাউজগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জের উচিত ছিল ওই দিন সিডিবিএলের সঙ্গে আলোচনা করে শেয়ার সংশ্লিষ্ট বেনিফেশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে দেয়ার ব্যবস্থা করা। যারা শেয়ার বিক্রি করেছেন তারা এ বিষয়টি জানতেন না।

সাধারণত কোনো বিও হিসাব থেকে শেয়ার কেনা হলে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার দু’ দিন পর বিক্রি করতে পারে। সেই হিসেবে অনেকেই শেয়ার বিক্রি করেছেন। কিন্তু বিএসইসি’র সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যারে বিষয়টি শর্ট সেল হিসেবে ধরা পড়েছে।

সাধারণত কোনো কোম্পানির শেয়ার বিও হিসেবে না থাকলে অথবা বিক্রির উপযুক্ত (মেচিউরড) না হওয়া সত্বেও যদি শেয়ার বিক্রি করা হয় তাহলে সেটা শর্ট সেল হিসেবে গণ্য হয়। এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর জন্য ডিএসই’কে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।

সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী শর্ট সেল জরিমানাযোগ্য অপরাধ। শর্ট সেলের অভিযোগে বিএসইসি চাইলে জরিমানাসহ যেকোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজগুলো আতঙ্কে রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসি‘র নির্বাহি পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিনকে বলেন, চিঠির প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজগুলো জবাব দেবে। তাদের জবাব যদি সন্তোষজনক হয় তাহলে কোনো সমস্যা নেই। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিবে বিএসইসি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিডিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভ্র কান্তি চৌধুরী দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিনকে বলেন, এটি সিডিবিএলের কোনো দায়িত্ব নয়। স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে টাকা ক্লিয়ার হলে সিডিবিএলকে জানাবে স্টক এক্সচেঞ্জ। এর পরেই সিডিবিএল সংশ্লিষ্ট বিও হিসাবে শেয়ার পাঠাবে। তাই এটি আমাদের কোনো ব্যাপার নয়, এটি সম্পূর্ণ এক্সচেঞ্জের বিষয়।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৪১০ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged