নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিতর্কিত নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তের ফলে ধারাবাহিক দরপতনে নাকাল ছিল দেশের পুঁজিবাজার। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং এসব সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারী সংগঠনগুলো একত্রিত হয়ে আজ নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। পরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনগুলোর নেতারা কঠোর ভাষায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার পদক্ষেপের সমালোচনা করেন।
বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অবস্থানের পর বাজারে কিছুটা ইতিবাচক গতি লক্ষ্য করা যায়। সংগঠনগুলোর নেতারা জানিয়েছেন, বাজার স্থিতিশীল করতে প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। একই সঙ্গে তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন যে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে, তাহলে আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৯.৪৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,৭৩২.১৫ পয়েন্টে। অন্যান্য সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ৮.১৬ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ৯৮৫.১২ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৯.২৭ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে অবস্থান করছে ১,৮৬০.৫২ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩৮৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ২৩৬টির মূল্য বেড়েছে, ১১৩টির মূল্য কমেছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির দাম।
ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকার, যা আগের দিনের ৩৮৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকার তুলনায় ৮৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা কম।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এদিন লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের দিন এই পরিমাণ ছিল ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৪৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪৭টির, কমেছে ৮২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির মূল্য।
এদিকে, সিএসইর সামগ্রিক সূচক সিএএসপিআই ৭৪.৩৭ পয়েন্ট কমে নেমে এসেছে ১৩,৩২৬.৮২ পয়েন্টে। এর আগের দিন সূচকটি ২১৮.৯৫ পয়েন্ট কমে গিয়েছিল।


