বেআইনি বিও হিসাব বন্ধের সময়সীমা ২১ অক্টোবর

সময়: বুধবার, জুলাই ২৪, ২০১৯ ৪:৩৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : বেআইনি বেনিফিশারি ওনার্স (বিও) হিসাব বন্ধের সময়সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ সময়সীমা আগামী ২১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে কমিশন। তবে কোন্্ কোন্্ সদস্য এখনও পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট আদেশ পরিপালনে ব্যর্থ হয়েছে তা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করার জন্য ডিবিএ নির্দেশ নেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ৬৯৪তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে বেআইনি বিও হিসাব বন্ধ করতে গত ৬৯০তম সভায় ২১ জুলাই পর্যন্ত ডেটলাইন দিয়েছিল বিএসইসি। এবার আরো এক দফা সময় বাড়ালো কমিশন।

জানা গেছে, বিএসইসি একই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), মোবাইল এবং ব্যাংক হিসাব নম্বর ব্যবহার করে একাধিক বিও হিসাব ব্যবহার করার প্রমাণ পেয়েছে। এ ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ড বন্ধে করতে যে ব্যক্তির নামে বিও হিসাব সেই ব্যক্তির এনআইডি, ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে অন্য কোনো ব্যক্তির এনআইডি, ব্যাংক হিসাব কিংবা মোবাইল নম্বর ব্যবহারের সুযোগ নেই।

বিএসইসি সূত্র জানান, কমিশন সব ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীদের (ডিপি) জন্য বিও হিসাবে এনআইডি নম্বর, ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। এ সার্কুলারে বর্ণিত ধরনের ব্যত্যয় থাকলে তা ২১ অক্টোবরের মধ্যে ডিপিদের সংশোধন করতে হবে। তাছাড়া সার্কুলার অনুসারে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) কমিশনের কাছে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে একটি কমপ্লায়েন্স প্রতিবেদন জমা দেবে। এতে কোনো ব্যত্যয় থাকলে সেটি উল্লেখ করতে হবে।

এদিকে, একই সার্কুলারে বিও হিসাবে সংশ্লিষ্ট হিসাবধারীর ই-মেইল সংযুক্ত করার জন্য ডিপিদের অনুরোধ করা হয়েছে। এতে বিও হিসাবধারীরা কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সব বিবরণীসহ বিভিন্ন নোটিশ সহজে পেয়ে যাবে।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন, প্রি-আইপিও প্লেসমেন্ট শেয়ারে বিনিয়োগ ও সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ভুয়া তথ্যের মাধ্যমে বিও হিসাব খোলার প্রবণতা থাকে। আইপিও আবেদনে শেয়ারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য একই ব্যক্তি নিজ নামে এবং অন্যদের নামে কয়েকশ এমনকি হাজারেরও বেশি বিও হিসাব খোলার ঘটনা রয়েছে। অনিবাসী বাংলাদেশি (এনআরবি) কোটায় আইপিও শেয়ার পাওয়ার জন্য এনআরবি বিও হিসাব খোলার ক্ষেত্রে অসংখ্য অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এনআরবি না হয়েও ভুয়া তথ্য ব্যবহার করে বিও হিসাব খোলার নজির রয়েছে। তাছাড়া প্রি-আইপিও প্লেসমেন্টের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভুয়া বিও হিসাব ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া সুবিধাভোগী ব্যক্তির আওতায় যারা রয়েছে, তারা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে অন্যের নামে এমনকি ভুয়া তথ্য ব্যবহার করে বিও হিসাব খোলার মাধ্যমে বিনিয়োগ করে থাকে। এক্ষেত্রে নিজেদের পরিচয় গোপন রাখার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারি এড়ানোই থাকে মূল উদ্দেশ্য। মূলত বিও হিসাব ব্যবহারের ক্ষেত্রে এসব বেআইনি কর্মকাণ্ড রুখতেই কমিশন নতুন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged