ব্যবসা পরিচালনার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আশাব্যঞ্জক নয় : বিডা চেয়ারম্যান

সময়: বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯ ৯:৩৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, ব্যবসা পরিচালনার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আশাব্যঞ্জক নয়। এ অবস্থা হতে উত্তরণের জন্য বিডা’র ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালুসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তিনি এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

গত সোমবার বিডা কার্যালয়ে ‘ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’ (ডিসিসিআই)-এর পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে মতবিমিয়কালে তিনি এ আহবান জানান।

বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, শিল্পায়নের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের অবশ্যই পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নের দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের বহুমুখীকরণের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। একই সাথে তিনি বর্তমান বৈশি^ক পরিমন্ডলের বিবেচনায় বিদ্যমান কোম্পানি আইনের সংস্কার এবং তথ্য-প্রযুক্তির সম্পর্কিত বিষয়সমূহ এতে অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন।

ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, ডুইং বিজনেস ইনডেক্স-এ বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়নের জন্য বেসরকারি খাতে বিনিয়োগকে প্রায় ৩২-৩৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। বর্তমানে যেটি রয়েছে ২৩.৪ শতাংশ। ২০১৮ সালে বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেটি ২০১৭ সালে ছিল ২.৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, শিল্প-কারখানায় নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি এবং প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানো একান্ত আবশ্যক বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনীতিকে আরো সচল রাখার জন্য বাণিজ্য বিষয়ক সকল সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নয়ন, আমদানি-রপ্তানি নীতিমালাসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য নীতিমালার সংস্কার এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বিডা’র প্রস্তাবিত ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’-এর একটি শাখা ঢাকা চেম্বারে স্থাপনের আহ্বান জানান। ডিসিসিআই সভাপতি প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) সমূহে দ্রততম সময়ে গ্যাস, বিদ্যু, পানিসহ অন্যান্য সকল ধরনের সেবার সংযোগ প্রদান পাশাপাশি বেজা, পিপিপি কর্তৃপক্ষ ও বিডা’র সমন্বয় আরো বাড়ানো প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন।

ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ৮ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে আমাদের বিশেষ করে অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন একান্ত অপরিহার্য। তিনি বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজারে বন্ড মার্কেট চালু ও পুঁজিবাজারকে উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

মুক্ত আলোচনায় ডিসিসিআই পরিচালক আশরাফ আহমেদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, হোসেন এ সিকদার, মো. রাশেদুল করিম মুন্না, নূহের লতিফ খান অংশগ্রহণ করেন। তারা অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে দ্রুততার সাথে গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য সেবার চালুকরণ, এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের স্বল্পসুদে ঋণ সুবিধা প্রদান, ব্যবসা কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া সহজীকরণ, বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়ক প্রস্তাবিত কোম্পানি আইনের সংস্কার এবং ব্যাংক ঋণের সুদের কামানোর প্রস্তাব করেন।

ডিসিসিআই পরিচালক আন্দলিব হাসান, শামস মাহমুদ, এস এম জিল্লুর রহমান, বিডা’র নির্বাহী সদস্য নাভাস চন্দ্র মন্ডলসহ বিডা’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩০২ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged