নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগে ঘোষিত নতুন বয়সসীমা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি)। তারুণ্য ও দক্ষতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার লক্ষ্যে নীতিমালা জারি করা হলেও বিদ্যমান চেয়ারম্যানদের ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ না করায় সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
গত ২৮ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয় ‘রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি শেয়ারযুক্ত বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান/পরিচালক নিয়োগ নীতিমালা, ২০২৫’ প্রকাশ করে। এতে উল্লেখ করা হয়, ৪৫ বছরের নিচে বা ৭৫ বছরের বেশি বয়সী কেউ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান বা পরিচালক হতে পারবেন না।
কিন্তু নীতিমালা ঘোষণার অল্প সময় পরই দেখা যায়, মন্ত্রণালয় নিজস্ব নির্দেশনা অনুসরণ না করেই অগ্রণী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যানদের অপসারণ বিষয়ে কোনো তৎপরতা দেখায়নি। পর্যালোচনায় দেখা যায়, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম ফজলুর রহমানের বয়স ৭৯ বছর—যা নতুন নীতির সর্বোচ্চ বয়সসীমার (৭৫ বছর) ওপরে। আরও দুই ব্যাংকের চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রেও একই বয়সসীমা লঙ্ঘিত হয়েছে।
এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস জানান, নতুন বয়সনীতি কেবল ভবিষ্যতের নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। পূর্বের নীতিতে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তারা নির্ধারিত মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয় ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট। তিনি ২০০৩ সালে সচিব পদ থেকে অবসর নেন। একইভাবে, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদকে ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ২০১০ সালে ব্যাংকের এমডি পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন।


