বড় পতন ঠেকালো গ্রামীণফোন

সময়: শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯ ১০:২৬:১২ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে আগের দিনের ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবারও সূচকের পতন হয়েছে। এদিন সূচক সামান্য কমলেও বড় ধরনের পতন থেকে রক্ষা পেয়েছে পুঁজিবাজার। আর তা গ্রামীণ ফোনের কারণেই সম্ভব হয়েছে। আলোচ্য দিনে গ্রামীণ ফোনের দর ঊর্ধ্বমুখী থাকায় বড় ধরনের পতন হয়নি বাজারে। লেনদেন পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, সপ্তাহের শেষ দিন পুঁজিবাজারে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। যার ফলে সূচকের পতন হয়েছে। এদিন ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮৫৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর মধ্যে ১৫ পয়েন্ট পতনের পেছনে বড় ৫ কোম্পানির ভূমিকা ছিল।

অন্যদিকে সূচকের পতনের পেছনে যেসব বড় কোম্পানির অংশগ্রহণ ছিল তার মধ্যে অন্যতম ‘ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড’। কোম্পানিটির দর আগের দিনের চেয়ে ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ কমেছে। কোম্পানির শেয়ারের দরপতনে সূচক ৮ পয়েন্ট কমেছে।
একই সঙ্গে স্কয়ার ফার্মার শেয়ার দরও কমেছে। কোম্পানিটি সূচক ২ পয়েন্ট কমায় ভূমিকা রেখেছে।
এছাড়া রেনাটা সূচক ২ দশমিক ২৪ পয়েন্ট, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশ লিমিটেড ২ দশমিক ২২ পয়েন্ট এবং ম্যারিকোর ১ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট সূচক কমায় ভূমিকা রেখেছে।
তবে সূচকের বড় পতন ঠেকানোর পেছনে ইতিবাচক ভূমিকা ছিল গ্রামীণ ফোনের। কোম্পানিটির শেয়ার দর উত্থান ধারায় ছিল। কোম্পানিটির ৫৭ পয়েন্ট পতন ঠেকাতে ভূমিকা রেখেছে।

গ্রামীণ ফোনের দর পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বশেষ কোম্পানির শেয়ার ৩৩৫ টাকা বেচাকেনা হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ২৬ টাকা ৮ শতাংশের চেয়ে বেশি বেড়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার দর ২৮৯ টাকা ৪০ পয়সা লেনদেন হয়েছে। যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থা। কোম্পানিটির এরপর থেকে দর বাড়তে থাকে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘ মন্দা বাজারে যেসব কারণে পতন ত্বরান্বিত হয়, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সমন্বয়হীনতা। এই সমন্বয়হীনতার কারণেই গ্রামীণ ফোনের পাওনার বিষয়ে চাপ দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এতে বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামীণ ফোনের দর পতন হয়। যার ফলে বাজারে বড় ধরনের পতন হয়। ফের গ্রামীণ ফোনের নিকট পাওয়া অর্থ আদায়ে চাপ প্রয়োগ নয়, আলোচনা করা হবে অর্থমন্ত্রীর এমন আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বাজারে বিনিয়োগকারীরা গ্রামীণ ফোনের শেয়ারে আগ্রহ পেয়েছে। এতে কোম্পানিটির শেয়ার দর বাড়ছে। যা বৃহস্পতিবার সূচকের বড় ধরনের পতন ঠেকাতে ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন তারা।

প্রসঙ্গত, গ্রামীণ ফোনের নিকট সরকারের সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি পাওয়া রয়েছে। এ অর্থ আদায়ে গ্রামীণ ফোনকে কয়েকদিন আগে নোটিশ প্রদান করে বিটিআরসি। আর এ নিয়ে গ্রামীণ ফোন-বিটিআরসির সঙ্গে টানাপোড়ান চলে। এই টানাপোড়ানে বাজারে কোম্পানিটির শেয়ারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৫১৩ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged