মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিনিয়োগ বাড়ানোর চিন্তা করছে ডিএসই

সময়: মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২ ১২:২৫:২৯ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের হিসাব বিও একাউন্টের সাথে লিংক করে নতুন বিনিয়োগ ও বিনিয়োগকারী বাড়ানোর চিন্তা করছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ব্যাংক হিসাব না থাকলেও যাতে বিনিয়োগকারীরা সহজেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শেয়ার লেনদেন করতে পারে- সেজন্য ইতোমধ্যে বিকাশের সাথে আলোচনাও শুরু করা হয়েছে। থ্রিআই সিকিউরিটিজের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানীর শেয়ার কেনাবেচা শুরুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া এই তথ্য জানান।

থ্রিআই সিকিউরিটিজ নতুন প্রজন্মের একটি ব্রোকারেজ হাউস। ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কীমের আওতায় নতুন ৫৮টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঞৎধফরহম জরমযঃ ঊহঃরঃষবসবহঃ ঈবৎঃরভরপধঃব (ঞজঊঈ) ইস্যু করা হয়। এসব অনুমোদনপ্রাপ্ত ব্রোকারেজ হাউস ডিএসই’র মালিকানা পাবে না। তবে তালিকাভুক্ত কোম্পানীর শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন। অনুমোদনপ্রাপ্ত ঞজঊঈ হোল্ডারদের মধ্যে থ্রিআই সিকিউরিটিজ প্রথম শেয়ার লেনদেন শুরু করলো।
ডিএসই এমডি বলেন, এখন অনেকের ব্যাংক হিসাব না থাকায় বিও হিসাব খুলতে পারে না। ব্যাংক একাউন্ট না থাকলেও বিকাশ, নগদ বা উপায়ের হিসাব লিংক করা গেলে নতুন ইনভেস্টমেন্ট আসতে পারে।”

তিনি বলেন, ”ইতোমধ্যে বিকাশের সাথে আলোচনা শুরু করেছি, যাতে তাদের একাউন্টগুলোকে বিও হিসাবে সাথে লিংক করা যায়। এটা খুব প্রয়োজন। অনেকে ব্যাংক হিসাব খুলেন না কিন্তু সবার হাতেই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের একাউন্ট রয়েছে, যার মাধ্যমে শেয়ার লেনদেন করা সম্ভব।”

নতুন প্রজন্মের ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে লেনদেন চালুকে নতুন অধ্যায় আখ্যা দিয়ে তারিক আমিন বলেন, আমরা চাইবো নতুনরা শেয়ারবাজারে নতুন নতুন বিনিয়োগকারী আনবেন। অবশ্যই কিছু বিদ্যমান বিনিয়োগকারীই তো ক্লায়েন্ট থাকবে কিন্তু নতুন বিনিয়োগকারী আনতে হবে। নতুন বিনিয়োগকারী ছাড়া মার্কেট গ্রো করবে না।”
মার্কেট ক্যাপিটাল টু জিডিপি রেশিও অনেক কম আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি মার্কেটকে গ্রো করতে। আমাদের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন জিডিপির ২০%। এখান থেকে বের হতে পারছি না। জিডিপি যে হারে বাড়ছে, শেয়ারবাজার সেভাবে বাড়ছে না।“

তিনি বলেন, ”এখন দেশের জিডিপি ৪০৯ বিলিয়ন ডলার আর মার্কেট ক্যাপিটাইজেশন ৭০ বিলিয়নের কাছাকাছি। জিডিপি অনেক এগুলেও মার্কেট ক্যাপ সেভাবে এগুচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করছি ফরেন ও লোকাল বিনিয়োগ বাড়াতে। শেয়ারবাজার এখন শহর পর্যায়ে আছে, গ্রাম পর্যায়েও যাবে। এই জন্য ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসির ব্যবস্থা করতে হবে। এখন গ্রামে প্রচুর ইনভেস্টবেল ফান্ড আছে, কিন্তু তাদের শুধু লিটারেসি নেই। সেটা দেওয়া গেলে নতুন নতুন ফান্ড শেয়ারবাজারে আসবে।“

থ্রিআই সিকিউরিটিজের কর্ণধার ইস্তাক আহমেদ বলেন, ব্রোকারেজ হাউস থেকে বিনিয়োগকারীদের কোন পরামর্শ দেওয়া হয় না। কিন্তু আমরা নিজস্ব গবেষণার মাধ্যমে বিনিয়োগের পরামর্শ দিবো।”
তিনি বলেন, ”কেবল শেয়ারবাজারের বিদ্যমান বিনিয়োগকারীই নয়, আমরা নতুন নতুন বিনিয়োগকারী আনবো। বড় বড় উদ্যোক্তাদের ফান্ড নিয়ে আসবো, যা দেশের শেয়ারবাজার তথা অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

 

Share
নিউজটি ২১৬ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged