রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী হবেন প্রথম ই-পাসপোর্টধারী

সময়: রবিবার, জানুয়ারি ১৯, ২০২০ ৬:২০:২৪ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হবেন দেশের প্রথম ই-পাসপোর্টধারী এমনটাই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২২ জানুয়ারি সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অধিকতর নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্বলিত ই–পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন করবেন। আর ই-পাসপোর্ট সর্বপ্রথম পাবেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ই-পাসপোর্ট ভবন ও ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এর মাধ্যমে পুলিশ ভেরিফিকেশন অনেকটা সহজ হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি। পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে অনলাইনে। আমরা যখন বুঝব দ্রুত দরকার সেক্ষেত্রে আগেই ভেরিফিকেশন করে নেবো। যাকে বলা হয় প্রি-ভেরিফিকেশন।
তিনি বলেন, ভেরিফিকেশন নিজ উদ্যোগে করে নিলে সমস্যা কমে যাবে। উত্তরায় পারসোনালাইজেশন কমপ্লেক্সে ঘণ্টায় ৫০০ এবং শিফটে ২৫ হাজার পাসপোর্ট প্রিন্ট করা যাবে। ২০২০ সালের মধ্যে দেশের ৭২ আঞ্চলিক ও বিভাগীয় অফিসে এবং বাংলাদেশস্থ ৮০ বৈদেশিক মিশনে পর্যায়ক্রমে এই কার্যক্রম চালু হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একে একে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। ২০০৮ সালে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশ হবে ডিজিটালাইজ। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো লেগেছিল। আজ এর সুফল সবাই পাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ২০২৪ সালের নভেম্বরের মধ্যে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) কার্যক্রম শেষ করার কথা থাকলেও তার অনেক আগেই হয়েছে। আমরা সবার কাছে এমআরপি পৌঁছে দিয়েছি। ই-পাসপোর্ট চালু হলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সম্মান বৃদ্ধি পাবে। ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে মেশিনে একজন ব্যক্তির প্রকৃত তথ্য মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যাচাইয়ের সুবিধা রয়েছে। পাসপোর্ট অধিদফতর ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে এই কাজ করছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ডিজিটালাইজড আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। সেটি নিবন্ধন রয়েছে। কাজেই তথ্য গোপন করে কোনও রোহিঙ্গার ই-পাসপোর্ট গ্রহণের সুযোগ নাই। তারপরও রোহিঙ্গারা যদি বিভিন্ন ধরনের ফাঁক-ফোকরের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট করতে যায়, তাহলে বিভিন্ন প্রশ্নে তারা ধরা পড়বে।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৪৪২ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged