লক ফ্রি হচ্ছে ৯ কোটির বেশি শেয়ার

সময়: রবিবার, জানুয়ারি ১২, ২০২০ ৬:৪৯:২৩ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। দরপতনের হাওয়া লেগেছে বাজারে থাকা ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানিগুলোতেও। চলমান মন্দা বাজারে দু’ কোম্পানির ৯ কোটি ৮৮ লাখ শেয়ার লক ফ্রি হচ্ছে। এতে বাজারে শেয়ারের যোগান বাড়বে। ফলে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরে চাপ পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
লক ফ্রি হওয়া কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- সি পার্ল বীচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড এবং এস এস স্টীল লিমিটেড। এর মধ্যে আগামি ১৬ জানুয়ারি সি পার্ল বীচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের ১৮ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার লক ফ্রি হবে। কোম্পানিটি আইপিও’র মাধ্যমে ১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্ত ৫০ শতাংশ শেয়ার থেকে ২৫ শতাংশ বা ১৮ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার লক ফ্রি হবে। কোম্পানির শেয়ারগুলো লক ফ্রি হলেই বিক্রিযোগ্য হবে। কোম্পানির শেয়ার গত বহস্পতিবার সর্বশেষ ৪১ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
এদিকে, এস এস স্টীল লিমিটেড বাজারে ২ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ছেড়ে আইপিও’র মাধ্যমে ২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। আগামী ১৯ জানুয়ারি কোম্পানির ৯ কোটি ৬৯ লাখ ৩১ হাজার ১০০ শেয়ার লক ফ্রি হবে। এসব শেয়ার আইপিও অনুমোদনের ৪ বছর পূর্বে ইস্যু করা হয়েছে। কোম্পানির শেয়ার গত বৃহস্পতিবার সর্বশেষ ২২ টাকায় লেনদেন হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘ মন্দা বাজার পরিস্থিতি স্টেকহোল্ডারদের নানা তৎপরতায় ইতিবাচক ধারায় ফিরছে না। উল্টো বাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। এতে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছে, দরপতন অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে না পারলে বাজারে বড় ধরনের ধ্বসের আশঙ্কা রয়েছে। আর এমন পরিস্থিতিতে আইপিও’তে আসা কোম্পানিগুলোর শেয়ার লক ফ্রি হলে বাজারে শেয়ারের যোগান বাড়বে। এতে বাজারে অতিরিক্ত চাপ পড়বে। যা বাজার স্থিতিশীলতার অন্তরায়। তবে লক ফ্রি হওয়ার পর যদি এসব শেয়ার বেচাকেনা করা না হয় তাহলে বাজারে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই বলে মনে করছেন তারা।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) কার্যনির্বাহী সদস্য মাহবুব এইচ মজুমদার বলেন, নিয়মানুযায়ী কোম্পানির শেয়ার কয়েক ধাপে লক ফ্রি হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে বাজার ভালো বা মন্দা যে পরিস্থিতিতেই থাকুক তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে দেখা উচিত যে কারণে লক আরোপ করা হয়েছিল তা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা।
পাবলিক ইস্যু রুলস অনুযায়ি, উদ্যোক্তা পরিচালক ও ১০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার ধারনকারীদের জন্য ৩ বছর লক-ইন প্রযোজ্য। এছাড়া উদ্যোক্তা পরিচালক ও ১০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ারধারনকারীদের হস্তান্তরকৃত শেয়ারে লক-ইন ৩ বছর, আইপিও অনুমোদনের ৪ বছর পূর্বে ইস্যুকৃত শেয়ারে ১ বছর, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের ক্ষেত্রে ১ বছর ও বাকি অন্যসব শেয়ারে ২ বছর লক-ইন রাখা হবে। আর আইপিও’তে প্রাপ্ত যোগ্য বিনিয়োগকারীদের মোট শেয়ারের ৫০ শতাংশ লক-ইন থাকে। এরমধ্যে ২৫ শতাংশ শেয়ারে ৬ মাস ও বাকি ২৫ শতাংশ শেয়ারে ৯ মাস লক-ইন থাকে, যা কোম্পানির লেনদেনের প্রথম দিন থেকে হিসাবযোগ্য।

Share
নিউজটি ৫০১ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged