সিন্ডিকেটের ফাঁদে বিনিয়োগকারীরা

সরাসরি এজিএম করার আহ্বান

সময়: রবিবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২১ ১২:১৮:০৮ অপরাহ্ণ


মো. সাাজিদ খান : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সিন্ডিকেটের ফাঁদে পড়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। নিজেদের ফাঁয়দা হাসিলের জন্য সিন্ডিকেট করে একদিনে একাধিক কোম্পানির এজিএমের আয়োজন করা হয়েছে। যাতে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ছাড়াই নিজেদের ইচ্ছে মতো অযৌক্তিক এজিএম পাশ করাতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে না করে- সরাসরি বিনিয়োগকারীদের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে এজিএম করার মত দিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বর্তমানে যেহেতু করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও অফিস-আদালত স্বাভাবিক নিয়মে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে, তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এজিএম অনুষ্ঠিত করা যেতে পারে। যাতে বিনিয়োগকারীরা সরাসরি তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. আবু আহমেদ বলেন, “একদিনে একাধিক কোম্পানির এজিএম যুক্তিসঙ্গত নয়। কেননা, এতে প্রকৃত বিনিয়োগকারীরা যথাযথ মতামত প্রদান থেকে বঞ্চিত হয়। শুধু তাই নয়, বর্তমানে করোনামুক্ত পরিবেশে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিয়মিতভাবে লেখাপড়া করছে। এমন পরিস্থিতিতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নাম মাত্র এজিএম না করে- প্রকৃত বিনিয়োগকারীদের স্বশরীরে উপস্থিতির মাধ্যমে করতে হবে। যেহেতু সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বশরীরে নিয়মিত উপস্থিতিতে কার্যক্রম চলছে। তাই শেয়ারবাজারের উন্নয়নে ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এজিএম ডিজিটাল পদ্ধতিতে না করে সরাসরি করা উচিত।”

এ বিষয়ে ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী বলেন, “বর্তমানে যেহেত করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি ও বেসরকারি সব রকম অফিসিয়াল কার্যক্রম স্বশরীরে স্বাভাবিক নিয়মে চলছে। এ প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিনিয়োগকারীদের স্বশরীরে উপস্থিতির মাধ্যমে এজিএম করা যেতে পারে। এতে বিনিয়োগকারীরা তাদের মতামত সরাসরি প্রকাশ করতে পারবে। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের সাথে কোম্পানির মালিকপক্ষের সরাসারি দেখা-স্বাক্ষাত ও কুশলাদি বিনিময় হবে। অত:পর বিনিয়োগকারীরাও তাদের দাবি-দাওয়া ও কোম্পানির সার্বিক উন্নয়নে মালিকপক্ষের কাছে জানাতে পারবে। যা ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোনোভাবেই সম্ভব নয়।”

বিএসইসির মুখপাত্র মো, রেজাউল করিম বলেন, “একদিনে একাধিক এজিএম করতে বাঁধা নেই। কিন্ত একই সময়ে যাতে না হয়- সেটা বিএসইসি ভেবে দেখবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোম্পানিগুলো চাইলে এজিএম ডিজিটাল পদ্ধতিতে না করে বিনিয়োগকারীদের স্বশরীরে উপস্থিতিতে করতে পারে। তবে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে বেশিরভাগ কোম্পানির এজিএমে মতামত জানানো সম্ভব। যেহেতু, পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক, তাই সরাসরি এজিএম করতে বাঁধা নেই।”
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, কোম্পানিগুলো অসৎ উদ্দেশ্যে সিন্ডিকেট করে একদিনে একাধিক কোম্পানির এজিএম আয়োজন করেছে। যাতে বিনিয়োগকারীদের অনুপস্থিতিতে নিজেদের সাজানো, মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত এজেন্ডা পাশ করিয়ে নিতে পারে। সেখানে ভাড়াটে ও ফেক্ বিনিয়োগকারীদের উপস্থিত করে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে নেয়। কারণ, একজন বিনিয়োগকারীর পক্ষে একদিনে ৩টির বেশি এজিএমে উপস্থিত থাকা অসম্ভব। যদি তা পাশাপাশি ভেনুতে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। তবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে একাধিক এজিএম বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে এজিএম ডিজিটাল পদ্ধতিতে না করে- সরাসারি অংশগ্রহণের মাধ্যমে করতে হবে। যাতে বিনিয়োগকারীরা স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে তাদের মতামত জানাতে পারে।

একাধিক বিনিয়োগকারীর সাথে আলাপকালে তারা বলেন, কোম্পানিগুলো কৌশলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিজেদের ফাঁয়দা হাসিলের জন্য একদিনে একাধিক কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। একদিনে একই সময়ে একাধিক এজিএমে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিত হয়ে মতামত প্রকাশ করা অসম্ভব। সেটা ডিজিটাল পদ্ধতি হোক বা সরাসরি হোক। তাহলে বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক নিয়মে সব কাজ চলতে পারলে স্বশরীরে এজিএম কেন হবেনা। আমরা চাই, আগের মতো সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমেই এজিএম অনুষ্ঠিত হোক। যাতে করে আমরা স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারি।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসেই অনুষ্ঠিত হবে ১৭৩টি কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা। এর মধ্যে আগামী ২৩ ডিসেম্বর একদিনে সর্বোচ্চ ৩০টি কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হলো- অ্যাকটিভ ফাইন, এএফসি এগ্রো, আমান কটন, বেক্সিমকো, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং, বেক্সিমকো ফার্মা, বিএসআরএম স্টিল, বেক্সিমকো সিনথেটিকস, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স, ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং, জিবিবি পাওয়ার, গ্লোবাল হেভিকেমিক্যাল, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, মেঘনা পেট, মীর আক্তার হোসেন, মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, রানার অটোমোবাইলস, শাশা ডেনিমস, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস, ইন্দোবাংলা ফার্মা, শাইনপুকুর সিরামিকস, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, এসকে ট্রিমস, তমিউজউদ্দিন টেক্সটাইল এবং তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২৫ কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হলো- আফতাব অটোমোবাইলস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, বঙ্গজ, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, ডমিনেজ স্টিল, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, ফু-ওয়াং সিরামিকস, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, গোল্ডেনসন, জিকিউ বলপেন, হা- ওয়েল টেক্সটাইল, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, কাট্টলী টেক্সটাইল, খুলনা প্রিন্টিং, মেঘনা সিমেন্ট, নাভানা সিএনজি, ফার্মা এইডস, প্রিমিয়ার লিজিং, প্রাইম টেক্সটাইল, আরএসআরএম স্টিল, রিজেন্ট টেক্সটাইল, সালভো কেমিক্যাল, সিলভা ফার্মা এবং ওয়াটা কেমিক্যাল।

আগামী ২৭ ডিসেম্বর ১৯ কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হলো- এনভয় টেক্সটাইল, হামিদ ফেব্রিক্স, লুবরেফ বাংলাদেশ, মালেক স্পিনিং, মুন্নু এগ্রো, মুন্নু সিরমিকস, মুন্নু ফেব্রিক্স, ন্যাশনাল টি কোম্পানি, রহিম টেক্সটাইল, রংপুর ডেইরি ফুড, ইউনিক হোটেল, ইউনাইটেড পাওয়ার, বাংলাদেশ মুনস্পুল, বিডি সার্ভিসেস লিমিটেড, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, হাক্কানি পাল্প, ন্যাশনাল টিউবস, রহিমা ফুডস এবং সমতা লেদার।

আগামী ২৬ ডিসেম্বর ১৩ কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হলো- এসিআই লিমিটেড, এসিআই ফরমুলেশন লিমিটেড, এএমসিএল (প্রাণ), সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, পেপার প্রসেসিং, প্রিমিয়ার সিমেন্ট, রংপুর ফাউন্ড্রি, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, একমি ল্যাবরেটিজ লিমিটেড, উসমানিয়া গ্লস, জাহিন স্পিনিং এবং জাহিন টেক্সটাইল।

আগামী ২৮ ডিসেম্বর ১৩ কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হলো- আমরা নেটওয়ার্কস, আমরা টেকনোলজিস, আলহাজ টেক্সটাইল, এমবি ফার্মা, বিডি অটোকার্স, বসুন্ধরা পেপার মিলস, জেনারেশন নেক্সট, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, এমএল ডাইং, ন্যাশনাল ফিড মিল, তৌফিকা ফুড এবং ইয়াকিন পলিমার।

আগামী ২৯ ডিসেম্বর ১১ কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হলো- বিকন ফার্মা, ড্রাগন সোয়েটার, ই-জেনারেশন, ফু-ওয়াং ফুডস, জেএমআই সিরিঞ্জ, মেট্রো স্পিনিং, সাইফ পাওয়ারটেক, শমরিতা হাসপাতাল, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস, তুংহাই নিটিং এবং ভিএফএস থ্রেড ডাইং।

আগামী ১৫ ডিসেম্বর ১০ কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হলো- অ্যাডভেন্ট ফার্মা, অগ্নী সিস্টেমস, এপেক্স ফুডস, এপেক্স স্পিনিং, দেশবন্ধু পলিমার, এমআই সিমেন্ট, মবিল যমুনা, প্যাসিফিক ডেনিমস, স্কয়ার ফার্মা এবং স্কয়ার টেক্সটাইল।

আগামী ২২ ডিসেম্বর ১০ কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হলো- অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আরামিট সিমেন্ট, আরামিট লিমিটেড, দেশ গার্মেন্টস, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফাইন ফুডস লিমিটেড, ইফাদ অটোস লিমিটেড, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং, ন্যাশনাল পলিমার এবং সোনালী আঁশ।

আগামী ১৪ ডিসেম্বর ৬ কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হলো- এডিএন টেলিকম, আর্গন ডেনিমস, আজিজ পাইপস, ইভিন্স টেক্সটাইল, আইটি কন্সালট্যান্সি লিমিটেড এবং সামিট আলায়েন্স পোর্ট।

আগামী ১৮ ডিসেম্বর ৫ কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হলো- বারাকা পাওয়ার, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, রেনেটা এবং সাফকো স্পিনিং।

আগামী ১৯ ডিসেম্বর ৫ কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হলো- বাংলাদেশ ল্যাম্পস, কে অ্যান্ড কিউ, ম্যাকসন্স স্পিনিং, ওরিয়ন ইনফিউশন্স এবং ওরিয়ন ফার্মা।

আগামী ২০ ডিসেম্বর ৭ কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হলো- আমান কটন, আমান ফিড, আনলিমা ইয়ার্ন, বিডি বিল্ডিং সিস্টেমস, বিবিএস ক্যাবলস, দুলামিয়া কটন এবং ওইমেক্স ইলেক্ট্রোড।

আগামী ২১ ডিসেম্বর ৪ কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হলো- কনফিডেন্স সিমেন্ট, ফার কেমিক্যাল, আরএন স্পিনিং এবং স্টাইল ক্র্যাফট।

আগামী ২৫ ডিসেম্বর ৪ কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হলো- লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, শ্যামপুর সুগার এবং জিলবাংলা সুগার মিল।

আগামী ১১ ডিসেম্বর ৩ কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হলো- এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন, মুন্নু এগ্রো এবং মুন্নু সিরামিক।

আগামী ১২ ডিসেম্বর ৪ কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হলো- জেনেক্স ইনফোসিস, কোহিনুর কেমিক্যাল, সায়হাম কটন এবং সায়হাম টেক্সটাইল ।

আগামী ১৩ ডিসেম্বর ৩ কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিগুলো হলো- জেমিনি সি ফুডস, মতিন স্পিনিং এবং দি পেনিনসুলা। আগামী ১৭ ডিসেম্বর বিডিকম অনলাইনের এজিএম অনুষ্ঠিত হবে ।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

শুধু কোম্পানি নয়, শোকজের আওতায় আনতে হবে বিনিয়োগকারীদেরকেও
বাজারে স্বাভাবিক স্থিতিশীলতায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্বল, ঝুঁকিপুর্ণ স্বল্পমূলধনী কোম্পানিগুলো। এসব কোম্পানিতে টার্গেট করে একটি চক্র কারসাজির মাধ্যমে নিজেদের ফাঁয়দা হাসিলে সক্রিয় থাকে। এদের টার্গেট থাকে স্বল্পমূলধনী, ঝুকিপূর্ণ ও দুর্বল কোম্পানিগুলো। এরা কোম্পানিগুলোর বেশিরভাগ শেয়ার কিনে নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে দর নিয়ন্ত্রন করে। নিজেদের মধ্যে নিজেরাই শেয়ার ক্রয় বিক্রির মাধ্যমে শেয়ার দর বাড়িয়ে বাজারে গুজব রটিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরকে আকৃষ্ট করে। এদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে এসব শেয়ারে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সার্বিক বাজার চিত্রে।

দেখা যায়, বাজারে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোর তুলনায় অস্বাভাবিক হারে দর বাড়ে নিতান্তই দুর্বল ও ঝুঁকিপুর্ণ কোম্পানিগুলোর। এতে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোর দর সে হারে বাড়েনা। এতে নেতিবাচক প্রভাব পরে লেনদেন ও সূচকে। বাজারে তালিকাভুক্ত মৌলভিত্তি কোম্পানিগুলোর তুলনায় দুর্বল কোম্পানিগুলোর দর অনেক বেশি দেখা যায়। কোনো কোম্পানির অস্বাভাবিক হারে দর বাড়লেই নিয়ম অনুযায়ী ডিএসই শোকজ করেই দায় সারে। কোম্পানিগুলোও দায়সারা গোছের জবাব দেয় দর বাড়ার কোন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য তাদের কাছে নেই। ডিএসইও জানে শোকজের জবাব কি হবে। এরপরও কোম্পানিগুলোকে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়। তবে এটা বন্ধ করতে হবে। কোম্পানির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদেরকেও শোকজের আওতায় আনতে হবে। কেন তারা ভালো কোম্পানিগুলো রেখে কোন যুক্তিতে দুর্বল ও ঝুঁকিপুর্ণ কোম্পানিতে উচ্চ দরে বিনিয়োগ করছে। শেয়ারবাজারের উন্নয়নি ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এটি করা হলে বাজারে কারসাজি বন্ধ হবে এবং স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে পারে।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

 

 

 

 

 

 

 

 

Share
নিউজটি ৪২২ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged