শেয়ারবাজার থেকে ৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে মিরা অ্যাগ্রো ইনপুটস লিমিটেড

সময়: সোমবার, জানুয়ারি ১৩, ২০২০ ৬:৩৮:৫৭ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিটি ৫ কোটি টাকা উত্তোলন করতে চায় স্বল্প মূলধনী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মিরা অ্যাগ্রো ইনপুটস লিমিটেড। ৫০ লাখ শেয়ারের বিপরীতে এ তহবিল সংগ্রহ করবে কোম্পানিটি। যেহেতু এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেন করবে সেহেতু শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাই অর্থাৎ কোয়ালিফাইড ইনভেস্টররাই কোম্পানিটির শেয়ার কেনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এ লক্ষ্যে কোম্পানিটি ইতোমধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে প্রসপেকটাস জমা দিয়েছে।
বীজ উৎপাদক মিরা অ্যাগ্রো ইনপুটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ এ.এ মামুন বলেন, আমি আমার প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংক সুদের হার থেকে দূরে রাখতে চাই। তবে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য তহবিল দরকার। আর তাই তহবিল সংগ্রহের জন্য আমরা শেয়ারবাজারে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সাল থেকে মিরা অ্যাগ্রা ইনপুটস বিভিন্ন বীজ উৎপাদন, উন্নতি, প্রক্রিয়াকরণ, বিপণন করে আসছে। ফসল এবং উদ্ভিজ্জ বীজের প্রজননে জড়িত রয়েছে কোম্পানিটি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমরা বীজ সরবরাহ করে থাকি। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আমাদের কোন ব্যাংক লোন নেই। আর ব্যাংক লোন নেয়ার কোন চিন্তাভাবনাও আমাদের নেই।
মূলত জমি অধিগ্রহণ, ব্যবসার আধুনিকীকরণ, বিদ্যমান প্রকল্পের সম্প্রসারণ এবং কার্যনির্বাহী মূলধনের চাহিদা পূরণের জন্য শেয়ারবাজার থেকে ৫ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করা হবে বলে তিনি জানান।
সৈয়দ মামুন বলেন, বীজ সংরক্ষণ ও বৃহত্তর আকারে প্রক্রিয়াজাত করতে তহবিলের সাহায্যে একটি প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। মীরা চাল, ভুট্টা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, করলা, টমেটো, তরমুজ, শসা, মরিচ, কোহলরবী এবং মূলার বীজ বিক্রি করে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি রংপুর, বাগুড়া, মেহেরপুর, ঢাকা, সিলেট, চুয়াধাঙ্গা, মুন্সীগঞ্জ, চাট্টোগ্রাম ও কুমিল্লায় পণ্য বিক্রি করছে।
মিরা অ্যাগ্রোতে যেসব কোয়ালিফাইড ইনভেস্টররা বিনিয়োগ করবেন তাদেরকে কোম্পানি হতাশ করবে না বলেও জানান তিনি।
গত চার অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় ছিল যথাক্রমে- ৩.১৫ টাকা, ২.২১ াকা, ২ টাকা এবং ১.২৮ টাকা। সামগ্রিক বীজের বাজার এখন এক হাজার কোটি টাকারও বেশি।এক দশক আগে এর পরিমাণ প্রায় এক লাখ টন হলেও সরকারী ও বেসরকারী খাতের সরবরাহ করা মানের বীজের বাজার এখন দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩ লাখ টন। যা তাদের প্রসপেকটাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জমাকৃত প্রসপেক্টাস পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), ডিএসই, সিএসই যাচাই বাছাই ও মূলধন উওোলন পূর্বক ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে৷
ছোট থেকে মাঝারি আকারের উদ্যোক্তাদের তহবিল সংগ্রহের সুবিধার্থে ৩০ শে এপ্রিল ডিএসই এসএমই নামে পরিচিত ছোট-ক্যাপ বোর্ডটি চালু হয়। এর আওতায় প্রথম কোম্পানি হিসেবে মিরা অ্যাগ্রো লেনদেন শুরু করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এএএ ফিনান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইস্যু ম্যানেজার হিসাবে কাজ করছে।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৪৩৩ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged