নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১৬৯ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠে যাচ্ছে। কোম্পানিগুলোর প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১ শতাংশ শেয়ারদর কমা শর্তে ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে শেয়ারদর বাড়তে পারবে সর্বোচ্চ সার্কিট ব্রেকার পযন্ত।
আজ ২১ ডিসেম্বর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির এক আদেশে এ কথা জানানো হয়। এতে জানানো হয়, দরপতনের হারের সীমা কমানো হলেও দর বৃদ্ধির হারের সীমা আগের মতোই এক দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হবে।
অব্যাহত দরপতনের মুখে গত ৩১ জুলাই দ্বিতীয়বারের মতো সব শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বেঁধে দেয়া হয়। করোনার প্রাদুর্ভাবে ২০২০ সালের মার্চেও দরপতন ঠেকাতে একই পদক্ষেপ নেয়া হয়।
বিএসইসির দেওয়া অর্ডারের পর থেকে এই নির্দেশ পালিত হবে।
দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা এক শতাংশ নির্ধারণ হওয়ায় যেসব কোম্পানির শেয়ারদর ১০ টাকার নিচে, সেগুলোর দর কমতে পারবে না। যেসব কোম্পানির দর ১০ টাকা থেকে ১৯ টাকা, সেগুলো একদিনে কমতে পারবে ১০ পয়সা। যেসব কোম্পানির শেয়ার দর ২০ টাকা থেকে ২৯ টাকা, সেগুলোর দর একদিনে কমতে পারবে ২০ পয়সা। যেসব কোম্পানির শেয়ার দর ৩০ টাকা থেকে ৩৯ টাকা, সেগুলোর দর একদিনে কমতে পারবে ৩০ পয়সা। এই হারে কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর কমবে।
এ বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, শেয়ারবাজারে লেনদেন বৃদ্ধির লক্ষ্যেই ১৬৯টি প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার কার হয়েছে। এই কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারের মূলধনের মাত্র ৫ শতাংশ অবদান রাখে।