bangladesh bank

৯ শতাংশ সুদহার নির্ধারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

সময়: রবিবার, মার্চ ১, ২০২০ ২:০৭:৫৫ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য সব খাতে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা এই প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। রিটে অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ তিনজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আজ রোববার (১ মার্চ) মাহফুজুর রহমান নামে একজন আইনের ছাত্র এ রিট করেছেন বলে জানান তার আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য সব খাতে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, লক্ষ্য করা গেছে যে বর্তমানে ব্যাংকের ঋণের উচ্চ সুদহার দেশের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পসহ ব্যবসা ও সেবা খাতের বিকাশে প্রধান অন্তরায় হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকের সুদহার উচ্চমাত্রায় হলে সংশ্লিষ্ট শিল্প, ব্যবসা ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায় এবং উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। ঋণগ্রহীতারা যথাসময়ে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে সামর্থ্যও হারিয়ে ফেলে। ফলে ব্যাংকিং খাতে ঋণ শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় এবং সার্বিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। এমন প্রেক্ষাপটে ক্রেডিট কার্ড ব্যতীত অন্যান্য সব খাতে অশ্রেণিকৃত ঋণের ওপর সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।
সার্কুলারে আরো বলা হয়, কোনো ঋণের ওপর ৯ শতাংশ হারে সুদ ধার্য করার পরও যদি সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হয়, সে ক্ষেত্রে যে সময়কালের জন্য খেলাপি হবে অর্থাৎ মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে খেলাপি কিস্তি এবং চলতি মূলধন ঋণের ক্ষেত্রে মোট খেলাপিঋণের ওপর সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হারে দণ্ড সুদ আরোপ করা যাবে। চলতি বছর থেকে ব্যাংকের মোট ঋণ স্থিতির মধ্যে এসএমইর ম্যানুফ্যাকচারিং খাতসহ শিল্প খাতে দেওয়া সব ঋণ স্থিতি পূর্ববর্তী তিন বছরের চেয়ে কম হতে পারবে না।
রিটের বিষয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জানান, ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার দিয়ে বলেছে- ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৯ শতাংশের বেশি লোনের ক্ষেত্রে ইন্টারেস্ট নিতে পারবে না। মৌখিকভাবে বলেছিলো প্রতিষ্ঠানগুলো ৯ শতাংশের বেশি নিতে পারবে না, আর আমানতকারী যারা টাকা রাখেন তাদের ৬ শতাংশের বেশি সুদ দেবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে আমানতকারীদের বিষয়ে কিছু বলা নেই। কিন্তু সুদের হার ৬ শতাংশের কারণে এবং কমানোর কারণে ২ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কী পলিসি ডিসিশনের কারণে এটা করা হয়েছে সেটা জানতে আদালতের কাছে বক্তব্য তুলে ধরবো। সার্কুলারে শুধু ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের কথা রয়েছে। অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কথা নাই। এখন তারা চাইলে যা ইচ্ছা ইন্টারেস্ট নিতে পারবে। শুধু ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান কেন, পলিসি ডিসিশনের ক্ষেত্রে সবাইকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, রিটে সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অন্তর্র্বতীকালীন আদেশে সার্কুলারটি স্থগিত চেয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক এসে বলুক কী কারণে সার্কুলারটি বৈধ।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩১০ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged