স্মলক্যাপ প্লাটফর্মে তালিকাভুক্তিতে ১২ কোম্পানির আগ্রহ

সময়: মঙ্গলবার, মার্চ ২, ২০২১ ১০:৪৪:৪০ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের স্বল্প মূলধনী ১২টি টেকনোলোজি কোম্পানি শেয়ারবাজারের স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্মে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী। এরই ধারাবাহিকতায় স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্মে তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে কোম্পানিগুলো।

আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিন ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপত্বি করেন বিএসইসির কমিশনর অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

কোম্পানিগুলো হলো- সেবা ডট এক্সওয়াইজেড, চালডাল, যান্ত্রিক, ল্যান্ডনক, হ্যালো টাস্ক, বনডেস্টিন টেকনোলোজিস, ব্রোইনস্টেশন২৩, ই-কুরিয়ার, কাশ ফুড, সেমড, ডিভাইন আইটি ও এনানোভাস আইটি।

বৈঠকে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিমসহ কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলো কীভাবে পুঁজিবাজারের স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্মে তালিকাভুক্ত হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে সার্বিক সহযোগীতা করার আশ্বাস দিয়েছেন বিএসইসির কমিশনর অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। ।

এদিকে কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্মে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী কোম্পানিগুলো। তবে এ বিষয়ে তাদের তেমন কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তাই সজেই কোম্পানিগুলো যেন স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্মে তালিকাভুক্ত হতে পারে সে বিষয়ে কমিশনকে কর্মশালা আয়োজনের দাবি জানানো হয়।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, দেশের স্বল্প মূলধনী ১২টি টেকনোলোজি কোম্পানির প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছে কমিশন। বৈঠকে তারা কীভাবে পুঁজিবাজারের স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্মে তালিকাভুক্ত হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিশন কোম্পানিগুলোকে সার্বিক সহযোহীতা করার আশ্বাস দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোকে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্মে তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নেয় বিএসইসি। বিএসইসির ৫৬৫তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বাজারে তালিকাভুক্তির জন্য স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা এবং তালিকাভুক্তির পর পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা থাকতে হবে। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার নিচে থাকতে হবে। স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির জন্য কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে পুঁজি সংগ্রহ করতে হবে। তবে এ বাজারে শুধু কোয়ালিফাইড ইনভেস্টররা লেনদেন করতে পারবেন।

আর কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর চিহ্নিত করতে সিডিবিএল ভিন্ন ধরনের বিও হিসাব প্রণয়ন করবে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এই বাজার উন্মুক্ত থাকবে না। বিদ্যমান স্টক ব্রোকারদের মাধ্যমে বাজারে লেনদেন পরিচালিত হবে। এই বাজারে ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের মাধ্যমে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে পারবে না এবং শেয়ারধারীদের শেয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত লক-ইন থাকবে। বাজারে লেনদেনের তারল্য বজায় রাখার জন্য ইস্যুয়ার কোম্পানিকে কমপক্ষে ৩ বছরের জন্য মার্কেট মেকার নিয়োগ করতে হবে।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৫৫৪ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged