বিনিয়োগকারীরা স্বশরীরে না আসতে পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন

সময়: বৃহস্পতিবার, জুলাই ৮, ২০২১ ১:৫৭:৫৭ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান কঠোর লকডাউনে শেয়ারবাজার খোলা রেখেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের স্বশরীরে সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকে না এসে লেনদেন করারও প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কিন্তু স্বশরীরে না এসে শেয়ারবাজারে লেনদেন করার ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, বিনিয়োগকারীদের টাকা উত্তোলন কিংবা জমা উভয় ক্ষেত্রেই তাদের স্বশরীরে হাউজে আসতে হচ্ছে। আইপিও’র টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে হাউজে আসতে হচ্ছে। অন্যদিকে মোবাইলে ট্রেড করার ক্ষেত্রে অনুমোদিত প্রতিনিধির সঙ্গে সময়মতো কথাও বলতে পারছেন না। এছাড়া মোবাইল অ্যাপসের গতিও স্লো বা হ্যাং হয়ে যাওয়ার কারণে স্বাচ্ছন্দ্যমতো লেনদেন করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। যে কারণে লকডাউনে শেয়ারবাজার খোলা রাখা হলেও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন।

এ ব্যাপারে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট মো: রুহল আমিন আকন্দ বলেন, এই লকডাউনে একদিকে পুঁজিবাজার খোলা রেখেছে অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের সংশ্লিষ্ট হাউজে বা মার্চেন্ট ব্যাংকে স্বশরীরে আসা নিষেধ করেছে। এ ধরণের একটি প্রজ্ঞাপনও বিএসইসি থেকে জারি করা হয়েছে। এখন মার্কেট খোলা রেখেছে কিন্তু বিনিয়োগকারীদের আসা যাবে না- এটা আমাদের মতে সাংঘর্ষিক। কেননা একজন বিনিয়োগকারী তার টাকা প্রয়োজন হলে তাকে স্বশরীরে হাউজে আসতেই হবে। দ্বিতীয়ত তার কোডে টাকা নেই সে নতুন করে শেয়ার কিনবে তখন তাকে হাউজে টাকা জমা দেওয়ার জন্য আসতে হবে। তৃতীয়ত বর্তমানে চলমান আইপিওতে আবেদন করার জন্যও বিনিয়োকারীদের স্বশরীরে আসতে হবে।

তাহলে বিনিয়োগকারীদের স্বশরীরে আসার নিষেধাজ্ঞা জারি করার কারণে এটি সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক হয়ে যাচ্ছে। হয় তারা লকডাউন চলাকালীন সময়ে শেয়ার মার্কেট বন্ধ করে দেক, তা না হলে বিনিয়োগকারীদের আসার জন্য জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করুক। কারণ একজন বিনিয়োগকারী যখন মোবাইলে বা টিভিতে দেখবে তার শেয়ার ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে অথচ সে স্বশরীরে আসতে পারছে না, তখন তার মনটা খুবই ভারাক্রান্ত হয়ে যাবে। তার টাকাটা চোখের সামনে কাগজ হয়ে যাচ্ছে। যদি মোবাইলেও ট্রেড করে তাহলে দেখা যায়, একজন বিনিয়োগকারী অথরাইজড প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলার জন্য লাইন পেতে পেতে ১০-১৫ মিনিট চলে যায়, এতেও বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখন মোবাইল অ্যাপসে লেনদেন করলে অনেক সময় হ্যাং হয়ে যায়, যে কারণে কাঙ্খিত সময়ের মধ্যে সে লেনদেন করতে পারে না। কাজেই সবদিক মিলিয়ে বিনিয়োগকারীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন বলে মনে করেন রুহুল আমিন।

তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনে বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট যারাই কাজ করেন তাদের প্রত্যেককেই বিএসইসির তত্বাবধানে বাধ্যতামূলকভাবে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান করা হোক। নতুন কমিশন গঠিত হওয়ার পর বিনিয়োগকারীদের অনেক প্রত্যাশা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আশা করি বিএসইসি সেই প্রত্যাশা ধরে রাখবে।

 

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

 

Share
নিউজটি ৩১০ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged