আশুগঞ্জ পাওয়ারের আইপিও চাঁদা গ্রহণের সময়সীমা ১৮ নভেম্বর

সময়: বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৭, ২০১৯ ৮:০৫:০৭ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক: পাবলিক ইস্যু রুলসের প্রয়োজনীয় শর্ত শিথিল করে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির আইপিও চাঁদা গ্রহণের সময় বাড়িয়েছে বিএসইসি। বিনিয়োগকারীর স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার কমিশনের ৭০১তম নিয়মিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর সেকশন ২সিসি-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আশুগঞ্জ পাওয়ারকে পাবলিক ইস্যু রুলস, ২০১৫ এর রুল ৩ (৩) (বি), রুল ৬ (১) পরিপালনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। এই আইনে আইপিওতে কমপক্ষে ৬৫ শতাংশ আবেদন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এছাড়া রুল ৭(২) এ উল্লেখিত প্রসপেক্টাসের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ প্রকাশের ২৫ দিন পরে এবং ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে আবেদন গ্রহণের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কমিশন। এ অব্যহতি দিয়ে কোম্পানিটিকে অনুত্তোলিত অংশের চাঁদা সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
পাবলিক ইস্যু রুলস অনুযায়ী, আইপিওতে কমপক্ষে ৬৫ শতাংশ আবেদন জমার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যথায় ওই কোম্পানির আইপিও বাতিলের বিধান রয়েছে। তবে আশুগঞ্জ পাওয়ারের বন্ডে গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে ১০০ কোটি টাকার চাহিদার বিপরীতে ৩০ কোটি টাকার বা ৩০ শতাংশ আবেদন জমা পড়ে। যাতে কোম্পানিটি পাবলিক ইস্যু রুলস অনুযায়ী আইপিও’র অযোগ্য হয়ে পড়ে। এর আগে ২ জুলাই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়।
আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি ১০০ কোটি টাকার সাথে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে আরো ৫০০ কোটি টাকা উত্তোলন করছে। তবে উত্তোলিত ১০০ কোটি টাকার মধ্যে ভূমি উন্নয়ন এবং সিভিল কাজের জন্য ব্যয় করা হবে ৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। প্রাইমারি জ্বালানির জন্য ৩০ কোটি টাকা, যানবাহন কেনা বাবদ খরচ করা হবে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসালটেন্সি সেবা বাবদ খরচ করা হবে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ওয়ার্কিং ক্যাপিটালে ১০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং আইপিও বাবদ খরচ করা হবে ৪ কোটি ২১ লাখ টাকা।
আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন প্রতিটি ৫ হাজার টাকার ইস্যু মূল্যের ২ লাখ নন-কনভার্টেবল, পুরোপুরি অবসায়নযোগ্য, কূপন বিয়ারিং বন্ড আইপিও’র মাধ্যমে ইস্যু করবে। এর মধ্যে মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও সিআইএসের ১০ শতাংশসহ মোট ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ১ লাখ বন্ড প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাকি ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ১ লাখ বন্ড এনআরবিসহ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী এই বন্ড মার্কেটে ইক্যুইটি শেয়ারের মতো লেনদেন করতে পারবেন। তবে যারা এ বন্ড কিনে বিনিয়োগ করবেন, তারা নির্ধারিত হারে সুদ হিসেবে মুনাফা পাবেন। এই হার নির্ধারণ করা হবে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের সুদের হারের সাথে ৪% মার্জিনযুক্ত হার (যা সর্বনিম্ন সাড়ে ৮ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ সাড়ে ১০ শতাংশ)।
৭ বছর মেয়াদি বন্ডটির কুপন অর্ধবার্ষিক থেকে প্রদেয় হবে। ডিএসই থেকে ইস্যুয়ারের ব্যাংক হিসাবে তহবিল স্থানান্তরের দিন থেকে ১২ মাস পর প্রথম কূপন প্রদান করা হবে। বন্ডটি ৪ কিস্তিতে সম্পূর্ণভাবে অবসায়ন হবে। এর মধ্যে প্রথম ৩ বছর পর চতুর্থ বছরে ২৫ শতাংশ, পঞ্চম বছরে ২৫ শতাংশ, ষষ্ঠ বছরে ২৫ শতাংশ এবং সপ্তম বছরে ২৫ শতাংশ অবসায়ন হবে।
৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানির নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ২৬৫ টাকা ৯৬ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ২২ টাকা ৭৮ পয়সা। বিগত ৫ বছরের ওয়েটেড এভারেজ শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১০ টাকা ৬৩ পয়সা। ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের কোম্পানিটির করপরবর্তী মুনাফা ১৫০ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ৬৬১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৬ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড কাজ করছে। এছাড়া ট্রাস্টি হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/রী

Share
নিউজটি ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged