নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এসিআই লিমিটেডের আর্থিক প্রতিবেদনের ভুল তথ্য প্রকাশ করার বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। তদন্তে কোনো ধরনের অসঙ্গতি পায়নি তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সূত্র মতে, গত ১২ নভেম্বর ডিএসই কর্তৃক অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের (এসিআই) চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর ১৯) ভুল আর্থিক হিসাব প্রকাশে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি। তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে যে ভুলটি হয়েছে সেটা অনিচ্ছাকৃত।
সূত্র জানায় এসিআইয়ের প্রকাশিত তথ্যে যে ভুল হয়েছিল তা অনাকাঙ্খিতভাবে হয়েছে। এতে কারো কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি খুঁজে পাওয়া যায়নি। মার্কেট ওপারেশনে যিনি দায়িত্বে আছেন তিনি সেদিন অফিসে দেরি করে আসেন এবং যে তথ্য প্রকাশ করেছে তার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা পায়নি। তার সাথে যোগাযোগের সকল মাধ্যম আমরা তদন্ত করে দেখেছি। এসিআইয়ের বিষয়ে তার সাথে কেউ যোগাযোগ করেছে এরকম কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সূত্র আরও জানায়, এবিষয়ে মার্কেট অপারেশন্স ডিপার্টমেন্টের প্রধান সায়িদ মাহমুদ জুবায়েরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তবে তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা বরখাস্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তার অফিসে দেরি করে আসার বিষয়টি ডিএসইর অফিস ব্যবস্থাপনার নিয়মের মধ্যেই আছে। নিয়ম অনুযায়ী তিনদিন দেরি করে আসলে একদিনের ছুটি বা একদিনের পারিশ্রমিক কাটা যাবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর এসিআই লিমিটেডের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ভুলভাবে প্রকাশ করার দায়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মার্কেট অপারেশন্স ডিপার্টমেন্ট প্রধান সায়িদ মাহমুদ জুবায়েরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। বিষয়টি তদন্তে ডিএসইর ইন্টারনাল অডিটের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শেখ মাহামুদ্দুল্লাহকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ডিএসইর সার্ভিলেন্স বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) আব্দুল লতিফ ও কমন সার্ভিসের এজিএম আব্দুল ওয়াহিদ।
প্রসঙ্গত, এসিআই লিমিটেডের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ভুলভাবে প্রকাশ করার দায়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মার্কেট অপারেশন্স ডিপার্টমেন্টের প্রধান সায়িদ মাহমুদ জুবায়েরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কারো দায় আছে কি-না তা খতিয়ে দেখছে ডিএসই।
ওইদিন সকালে ডিএসইর ওয়ার্কস্টেশন ও ওয়েবসাইটে এসিআই লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবদনের তথ্য প্রকাশ করা হয়। কোম্পানিটি আলোচিত প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ৫ টাকা ৯৯ পয়সা লোকসান করলেও ডিএসইর সংবাদে শেয়ারপ্রতি ৫ টাকা ১৯ পয়সা মুনাফা দেখানো হয়। ভালো ‘মুনাফা’র খবরে শেয়ারটির মূল্য মুহুর্তের মধ্যে আকাশচুম্বী হয়ে উঠে। আগেরদিন যে শেয়ারটির দাম ছিল ২২৯ টাকা, সেটা কয়েক মিনিটের মধ্যে দাম প্রায় ১৮ শতাংশ বেড়ে ২৭০ টাকায় উঠে যায়। পরে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন পেয়ে ডিএসই ওই সংবাদটি সংশোধন করলে শেয়ারেরটি দাম ২৪০ টাকায় নেমে আসে। ডিএসইতে দেওয়া এ ভুল তথ্যের কারণে অসংখ্য বিনিয়োগকারী ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/রী