বিশেষ প্রতিনিধি : চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস ব্যক্ত করেছে বিশ্বব্যাংক। এটি চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ শতাংশ কম। এ বছর বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁও-এ বিশ্বব্যাংকের কার্যালয়ে সংস্থাটি কর্তৃক প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট, অক্টোবর-২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ পুর্বাভাস দেয়া হয়। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন, সাবেক লিড ইকনোমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন, জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড হ্যাভেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: ইতোপূর্বে বৈশ্বিক অর্থনীতির হালনাগাদ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের জুনের প্রতিবেদনে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। অন্যদিকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এর এক প্রতিবেদনে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট জিডিপি প্রবৃদ্ধির মধ্যে কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধি হবে ৩ শতাংশ, যা গত অর্থবছর সরকারি হিসেবে হয়েছিল ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াবে ৯ শতাংশ, যা গত অর্থবছরে ছিল ১৩ শতাংশ। সেবাখাতে প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াবে ৭ শতাংশ, যা গত অর্থবছরে ছিল ৬ দশমিক ৫ পাঁচ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড হ্যাভেন বলেন, রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ে জোরালো প্রবৃদ্ধি এবং জোরালো অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বড় ধরণের বিনিয়োগের উপর ভর করে সাত শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, বাংলাদেশের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অনেক প্রশংসার। এক্ষেত্রে সংখ্যা কোনো বিষয় নয়। ইতিবাচক উন্নতি যে হচ্ছে এটিই অনেক বড় ব্যাপার। তাছাড়া দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। গ্রামীণ অর্থনীতি ভালো করছে। তবে টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য চলমান সংস্কার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা, রফতানি বহুমুখীকরণ, খেলাপি ঋণ কমিয়ে নিয়ে আসা, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি এবং অবকাঠামো উন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় বিশেষ নজর দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রতিযোগিটার সক্ষমতা বাড়াতে ডুয়িং বিজনেস পরিবেশ উন্নত করতে হবে। কর্মসংস্থানমখী শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই জরুরি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান