সেপ্টেম্বরের মধ্যে চালু হচ্ছে ইটিএফ

সময়: মঙ্গলবার, মে ৩১, ২০২২ ৪:১০:৫৮ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের শেয়ারবাজারে চালু হতে যাচ্ছে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মতো আরেক পণ্য এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ)। তবে এই ইটিএফ থেকে নির্দিষ্ট সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে হবে। চাইলেই যেকোনো সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যাবে না।

আজ মঙ্গলবার (৩১ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। এতে ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সাইফুর রহমান মজুমদার ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) জিয়াউল করিম উপস্থিত ছিলেন।

তারিক আমিন ভূইয়া বলেন, আগামি সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইটিএফ চালু হবে। এটা অনেকটা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মতো। যা অ্যাসেট ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত হবে এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ন্যায় ট্রাস্টি থাকবে। এছাড়া ইটিএফ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হবে এবং লভ্যাংশ দেবে।

তিনি বলেন, শুরুতে ৫০ কোটি টাকা দিয়ে ডিএসই-৩০ সূচকের কোম্পানিগুলো নিয়ে ইটিএফের যাত্রা শুরু করা হবে। এই ৫০ কোটি টাকা অনেকটা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ন্যায় সংগ্রহ করা হবে এবং তা দিয়ে অ্যাসেট ম্যানেজার শুধুমাত্র ডিএসই-৩০ সূচকের কোম্পানিতেই বিনিয়োগ করতে পারবে। এমনকি ওই ৩০ সূচকের প্রতিটি কোম্পানিতে ওয়েটেড এভারেজ ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা হবে।

এ বিষয়ে ডিএসইর এমডি বলেন, ৫০ কোটি টাকার ইটিএফ গঠনের জন্য উদ্যোক্তা ১০ শতাংশ হারে ৫ কোটি টাকা এবং অ্যাসেট ম্যানেজার ২ শতাংশ হারে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। বাকি ৪৪ কোটি টাকা শেয়ারবাজারে সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডের থেকে ইটিএফ অনেক নিরাপদ উল্লেখ করে ডিএসইর এমডি বলেন, ইটিএফ কখনো ধ্বংস হয় না। উদাহরন হিসেবে তিনি বলেন, প্রথম ইটিএফ গঠন হবে ডিএসই-৩০ সূচকের কোম্পানিগুলো নিয়ে। এখন ওই ৩০ কোম্পানির মধ্যে যদি কোন ১টি ডিএসই-৩০ সূচক থেকে বের হয়ে যায়, তাহলে ইটিএফ এর অ্যাসেট ম্যানেজার সেই কোম্পানির সিকিউরিটিজ বিক্রি করে দেবে এবং ৩০ সূচকে নতুন যে কোম্পানি আসবে, সেই কোম্পানির সিকিউরিটিজ কিনে নেবে।

তিনি বলেন, এরইমধ্যে লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ও গ্রীন ডেল্টা ড্রাগণ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ইটিএফ গঠনে উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

ইটিএফ শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে জানান ডিএসইর এমডি। তিনি বলেন, শুরুতে ডিএসই-৩০ সূচকের কোম্পানিগুলো নিয়ে ইটিএফ গঠন করা হলেও পরবর্তীতে বিভিন্নভাবে করা হবে। সেটা শরীয়াহভিত্তিক সূচকের কোম্পানিগুলো নিয়ে, ফার্মাসিউটিক্যালস বা অন্যকোন খাতের কোম্পানি নিয়ে ইটিএফ গঠন করা হতে পারে।

তারিক আমিন ভ্ইূয়া বলেন, ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটের (ওটিসি) কোম্পানিগুলো এটিবিতে লেনদেন হবে। এছাড়া অতালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও প্রাইভেট প্লেসমেন্ট লেনদেন হবে।

অনুষ্ঠানে ডিএসইর সিওও সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, সারাবিশ্বব্যাপি ইটিএফ একটি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এখানে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইটিএফ পরিচালনা করা হবে। এই ইটিএফের চালুর মধ্য দিয়ে দেশের মিউুচ্যয়াল ফান্ড খাতের উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

 

Share
নিউজটি ২৩৪ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged