সূচক ও অধিকাংশ শেয়ারের পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজার। গতকাল বুধবার দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক ও দর কমেছে। এর মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৩২ পয়েন্ট ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৪৭ পয়েন্ট সূচক কমেছে। পাশাপাশি ব্যাপকসংখ্যক শেয়ারে দরপতন ঘটেছে। এর মধ্যে ডিএসই-তে ২৪১টি এবং সিএসই-তে ১৫৫টি শেয়ারে দরপতন হয়েছে। পুঁজিবাজারে এ ধরনের পতনে হতাশ হয়ে পড়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের পিঠ এখন ঠেকে যাচ্ছে দেয়ালে।
বাজারসংশ্লিষ্টদের মতে, ‘টোটকা ওষুধে’ সাময়িক কয়েকদিন বাজার ভালো যেতে পারে, কিন্তু এতে বাজারের প্রকৃত গতি ফিরবে না; বাজার স্থিতিশীল হবে না এবং বিনিয়োগকারীদেরও আস্থা ফিরবে না। পুঁজিবাজারের মোড় ঘোরাতে হলে এর মূল সমস্যায় দৃষ্টি দিতে হবে। ত্বরিত এমন কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসে এবং বাজারও স্থিতিশীল হয়। একই সঙ্গে বাজারসংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকেও আরও গতিশীল হতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় করতে হবে।
প্রসঙ্গত: মন্দা বাজারের গতি ফেরাতে সম্প্রতি পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী পুঁজিবাজারের বর্তমান মূল সমস্যা এবং সেগুলো সমাধানে সরকারের করণীয় বিষয়ে গণমাধ্যমে তেমন কিছু না বললেও পুঁজিবাজার নিয়ে সরকারের প্রত্যাশার কথা বলেছেন এবং বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করার লক্ষ্যে দুয়েকটি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরও বাজারের গতি ফিরছে না।
‘টোটকা ওষুধে’ বাজার ভালো হবে না
সময়: বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০১৯ ৭:০৯:০৪ অপরাহ্ণ