অনুপ সর্বজ্ঞ : এক থেকে পাঁচ বছর হলে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়ামের পর সর্বোচ্চ ৯৮ শতাংশ এবং নবায়ন প্রিমিয়ামের ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ব্যবস্থাপনা বাবদ ব্যয় করতে পারবে জীবন বীমা কোম্পানিগুলো। এমন বিধি রেখে ‘জীবন বীমা ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণী বিধিমালা ২০১৯’-এর খসড়া চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে ‘বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্র্তৃপক্ষ’ (আইডিআরএ)।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর জীবন বীমা কোম্পানির খসড়া বিধি ও প্রবিধান চূড়ান্তকরণের জন্য গঠিত কমিটির সভা কর্র্তৃপক্ষের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির আহ্বায়ক ও আইডিআরএ এর সদস্য বোরহান উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা।
এ প্রসঙ্গে আইডিআরএ’র সদস্য বোরহান উদ্দীন আহমেদ ‘দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন’-কে বলেন, ‘খসড়া বিধিমালাটি নিয়ে আমরা স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে সম্প্রতি আলোচনায় বসেছি। শিগগিরই বিধিটি চূড়ান্ত করতে পারবো বলে আশা করছি।’
খসড়া বিধি অনুযায়ী, একক প্রিমিয়াম পদ্ধতিতে পলিসির প্রিমিয়াম আদায় করা হলে প্রথম বৎসরে ব্যয় করা যাবে ৫ শতাংশ। কিস্তিতে পলিসির প্রিমিয়াম আদায় করা হলে প্রথম বৎসরে ১০ শতাংশ, নবায়ন প্রিমিয়ামের ৫ শতাংশ এবং সংশ্লিষ্ট বছরে পরিশোধিত মোট অ্যানুয়িটির ওপর ১ শতাংশ ব্যয় করতে পারবে জীবন বীমা কোম্পানিগুলো।
খসড়া প্রবিধানে বলা হয়েছে, যেসব পলিসির আর কোন প্রিমিয়াম পরিশোধযোগ্য নয় সেসব ক্ষেত্রেও পুনবীমা বাদে বাৎসরিক গড় বীমা অংকের পরিমাণের ওপর শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। এছাড়া অন্যান্য পলিসির একক প্রিমিয়ামের ক্ষেত্রে আদায়কৃত এককালীন প্রিমিয়ামের ওপর ৫ শতাংশ এবং নবায়নযোগ্য গোষ্ঠী বীমা পলিসিতে বছরে পরিশোধিত প্রিমিয়ামের ওপর ১৫ শতাংশ ব্যয় করতে পারবে জীবন বীমা কোম্পানিগুলো।
খসড়া প্রবিধান অনুযায়ী, ছয় থেকে দশ বছর হলে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়ামের ওপর ৯৭ শতাংশ এবং নবায়ন প্রিমিয়ামের ওপর ২২ শতাংশ ব্যবস্থাপনা বাবদ ব্যয় করা যাবে। এছাড়া ১০ বছরের বেশি হলে প্রথম বর্ষ মোট প্রিমিয়ামের পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা বা তার কম হলে ৯৩ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় করতে পারবে জীবন বীমা কোম্পানিগুলো। পাশাপাশি ১০০ কোটি টাকার বেশি কিন্তু অনূর্ধ্ব ৫০০ কোটি টাকা হলে ৯২ শতাংশ বা ৫০০ কোটি টাকার বেশি হলে ৯১ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় করতে পারবে জীবন বীমা কোম্পানিগুলো।
এদিকে, নবায়ন প্রিমিয়ামের ওপর ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ , ২০২০ সালে ১৯ শতাংশ, ২০২১ সালে ১৮ শতাংশ, ২০২২ সালে ১৬ শতাংশ এবং ২০২৩ ও পরবর্তী সময়ে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ব্যবস্থাপনা বাবদ ব্যয় করতে পারবে জীবন বীমা কোম্পানিগুলো।
খসড়া প্রবিধানমালায় বলা হয়েছে, যেসব পলিসির মেয়াদকাল ১১ বছর বা তার কম সেই সব ক্ষেত্রে প্রথম বৎসর প্রিমিয়ামের ওপর নিরূপিত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা পলিসির মেয়াদকালের সাড়ে সাত গুণ হবে। এছাড়া সরকার কর্র্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ক্রমে সময়ে সময়ে উল্লেখিত ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমার হারসমূহ পরিবর্তন করতে পারবে বলে খসড়া প্রবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান