নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেনের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারসাজি করে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অতি গোপনীয়ভাবে প্রাথমিক অনুসন্ধান চালায় দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট। কিন্তু তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে গোয়েন্দা ইউনিটের দাখিল করা প্রতিবেদনটি কমিশনের নথিভুক্ত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, শেয়ারবাজারে কারসাজি করে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচার করছেন মর্মে খায়রুল হোসেনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ আগস্ট অনুসন্ধানে নামে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট। এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে গোয়েন্দা ইউনিট দুদক-এ প্রতিবেদন দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগকারীর কোনো অস্তিত্ব নেই। বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে দুদকে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটিও ভুয়া। খায়রুল হোসেনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্য কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় অনুসন্ধান থেকে পিছু হটলো সংস্থাটি। ফলে চূড়ান্তভাবে অনুসন্ধান করবে না বলে ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
দুদক-এর উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এ বিষয়ে বলেন, বিএসইসির চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা কার্যক্রমের কোনো তথ্য আমার জানার সুযোগ নেই। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত হবে না।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান