অস্বাভাবিক দরপতন : তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন কমিশনের হাতে

সময়: সোমবার, আগস্ট ১৯, ২০১৯ ৭:২৮:৫৪ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কিছু কোম্পানির অস্বাভাবিক লেনদেন ও স্টক এক্সচেঞ্জে অস্বাভাবিক ট্রেড ভলিয়ম খতিয়ে দেখতে গঠিত তদন্ত কমিটি কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। গতকাল রোববার কমিটি কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
টানা ১৫ কার্যদিবসের এ তদন্তে কী ধরনের অনিয়ম বা কারা অস্বাভাবিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত Ñতা এখনও জানা যায়নি। তবে টানা নেতিবাচক লেনদেন ও অস্বাভাবিক কার্যক্রমের সঙ্গে বড় কারসাজি চক্রের যোগসাজশ রয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদন ঈদের আগেই প্রস্তুত করা হয়েছিল। এখন তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিক লেনদেন এবং স্টক এক্সচেঞ্জে অস্বাভাবিক ট্রেড ভলিয়ম খতিয়ে দেখতে গত ২১ জুলাই বিএসইসি’র পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিএসইসি উপপরিচালক মো. অহিদুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ রাকিবুর রহমান। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। তদন্তের স্বার্থে পরে আরো ২ জনকে এ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তারা হলেন, ডিএসইর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং মহাব্যবস্থাপক সিফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর ২১ ধারা, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩-এর ১৭ (ক) ধারা এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ) বিধিমালা, ১৯৯৫-এর বিধি ৬ অনুযায়ী গঠিত কমিটি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে।
জানা যায়, দরপতনের কারণ অনুসন্ধানে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লেনদেনের হিসাবসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য চায় তদন্ত কমিটি। এর মধ্যে ছিল- শেয়ার বিক্রির ভিত্তিতে শীর্ষ ৫০ স্টক ব্রোকারের তথ্য ও তাদের ডিলার হিসাবের মোট সম্পদ মূল্যের হিসাব; তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যমান বিনিয়োগের চিত্র; যেসব ডিলারের বিও হিসাবে ২ কোটি টাকা বা তার বেশি শেয়ার বিক্রি হয়েছে, তাদের হিসাব বিবরণীর কপি; স্টক ব্রোকার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পোর্টফোলিও’র হিসাব বিবরণী; আর্থিক খতিয়ান; ট্রান্সজেকশন ফি; ব্যাংক হিসাব; মোট অর্থ স্থানান্তর; জমা ও উত্তোলন; মোট শেয়ার বিক্রির পরিমাণ ও মূল্যের হিসাব। পাশাপাশি তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক ও প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার বিক্রির পরিমাণ, মূল্য ও অর্থ উত্তোলনের হিসাব। এছাড়া অন্যদের মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জের মনিটরিং এবং সার্ভিলেন্স বিভাগ থেকে অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রতিবেদন, স্টক এক্সচেঞ্জের নিজস্ব বিচারে বাজার নেতিবাচক হওয়ার কারণ, গুজব বা অন্য কোনো তথ্য থাকলে সে সম্পর্কে প্রতিবেদন। মার্কেটকে প্রভাবিত করতে পারে পত্রিকার এমন প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩২৩ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged