নিজস্ব প্রতিবেদক: অস্বাভাবিক হারে শেয়ার দর বাড়ায় লিগ্যাসি ফুটওয়্যারে নজরদারি করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)।
সম্প্রতি মূল্য সংবেদনশীল কোনো তথ্য ছাড়াই লাগামহীনভাবে দর বাড়ছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দুর্বল ও লোকসানি কোম্পানিটির শেয়ার।
কোম্পানিটির শেয়ারদর লাগামহীনভাবে বাড়ায় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে।
এই বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের শেয়ারদর যেভাবে বাড়ছে, তা সন্দেহজনক।
আমরা বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছি। কারসাজির প্রাথমিক কোনো প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, কারসাজিতে কেউ জড়িত থাকলে, বাজারের স্বার্থে কাউকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। বিএসইসি এই বিষয়ে তৎপর বলে জানান তিনি।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ৩ মার্চ লিগ্যাছি ফুটওয়্যারের শেয়ারদর ছিল ৩৯ টাকা। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার আজ লেনদেন হয়েছে ৯৮ টাকা ৫০ পয়সায়।
তবে দিনশেষে ক্লোজিং হয়েছে ৯২ টাকা ৪০ পয়সায়। যা কোম্পানিটির তালিকাভুক্তির সর্বোচ্চ রেকর্ড দর।
সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ি, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৭৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১১ পয়সা।
সর্বশেষ ২০২২ সালে কোম্পানিটি ‘নো ডিভিডেন্ড’ দিয়েছে। তার আগের বছর ২০২১ সালে ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
এর আগেও অনেক বছর কোম্পানিটির ‘নো ডিভিডেন্ড’ দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ০৪ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৯ টাকা ৮৩ পয়স।
অর্থাৎ মুনাফা, ডিভিডেন্ড ও সম্পদ মূল্যে কোম্পানি পেছনের দিকে হাঁটছে, আর শেয়ার দরে চলছে তাক লাগানো বিস্ময়।
কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে মাইনাস ২৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ ধারে-কর্জে চলছে কোম্পানিটির কার্যক্রম। অথচ কোম্পানিটির শেয়ার দরে চলছে তেলেসমাতি।