নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী বাজেটে বিনিয়োগকারীদের স্বস্তির লক্ষে দ্বৈত কর বাতিল দাবি করেছেন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি’রোজারিও। তিনি বলেন, সিকিউরিটিজ লেনদেনের উপর বিদ্যমান অগ্রিম আয়কর (এআইটি) দশমিক শূন্য ১৫ শতাংশ করলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। এই সময় তিনি বিনিয়োগকারীদের স্বস্তির লক্ষে দ্বৈত কর বাতিল দাবি করেন। একই সঙ্গে শেয়ারবাজারে শর্তহীনভাবে অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো টাকা) বিনিয়োগের সুযোগও রাখার দাবি।
রোববার দুপুরে আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাথে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট (২০২৩-২০২৪ অর্থবছর) আলোচনায় ডিবিএর পক্ষ থেকে এসব দাবিদাবা তুলে ধরা হয়। পরে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের কাছে লিখিত আকারে দাবিগুলো জমা দেওয়া হয়।
আলোচনায় রোজারিও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে। পুঁজিবাজার সচল থাকলে দেশের সব খাত সচল থাকে। তাই এরুপ উন্নয়ন ও অগ্রগতির লক্ষে সিকিউরিটিজ লেনদেনের উপর বিদ্যমান করের পাশাপাশি অন্যান্য খাতে কর সুবিধা চাচ্ছে।
আরও বলেন, কর সুবিধা দেওয়া হলে স্টক ব্রোকারসহ বাজার সংশ্লিষ্টদের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। অন্যদিকে বাজারে বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহনে লেনদেন বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।
বাজেট আলোচনায় ডিবিএর প্রেসিডেন্ট লিখিত আকারে একগুচ্ছ দাবি তুলো ধরেন। দাবিগুলো হলো- সিকিউরিটিজ লেনদেনের উপর প্রদত্ত অগ্রিম আয়কর (এআইটি) বিদ্যমান দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক শূন্য ১৫ শতাংশ করা; ডিভিডেন্ট আয়ের উপর করমূক্ত সীমা বিদ্যমান ৫০ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত করা; ব্যক্তির ক্ষেত্রে ডিভিডেন্ড আয়ের উপর অগ্রিম আয়কর পূর্ণাঙ্গ ও চুড়ান্ত নিষ্পত্তিকরণ সাপেক্ষে ১০ শতাংশ করা; দ্বৈত কর প্রদান রহিতকরণ;
প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ডিভিডেন্ড আয়ের উপর অগ্রিম আয়কর পূর্ণাঙ্গ ও চুড়ান্ত নিষ্পত্তিকরণ সাপেক্ষে বিদ্যমান ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা; শেয়ারবাজারে শর্তহীনভাবে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ রাখা; বিনিয়োগ ভাতার সর্বোচ্চ সীমা মোট করযোগ্য আয়ের শতকরা ২৫ ভাগ থেকে বৃদ্ধি করে শতকরা ৩০ ভাগ বা প্রকৃত বিনিয়োগ অথবা ১৫ মিলিয়ন টাকা (উপরের তিনটির মধ্যে যেটি কম); মুলধন আয়ের উপর কর বিদ্যমান ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা।