স্পট প্রত্যাহার

আলহাজ্ব টেক্সের পরিচালক ও ‘এএনএফ ম্যানেজমেন্ট’-কে ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা

সময়: শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০১৯ ১০:০৮:৫৮ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের দায়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘আলহাজ্ব টেক্সটাইল’-এর পরিচালক মো. সামসুল হুদা এবং ‘এএনএফ ম্যানেজমেন্ট-কে ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন’ (বিএসইসি)। তবে এ সংক্রান্ত কার্যক্রমে দায়ী না হওয়ায় আলহাজ্ব টেক্সটাইলকে মূল মার্কেটে লেনদেন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিএসইসির ৭০৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছ। বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, পূর্ব ঘোষণা ছাড়া শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে আলহাজ্ব টেক্সটাইলের পরিচালক মো. সামসুল হুদা যথাক্রমে কমিশনের নোটিফিকেশন নং এসইসি/ সিএমআরআরসিডি/ ২০০৯-১৯৩/ ৪৯/ এডমিন/ ০৩-৪৮, ১৪ জুলাই ২০১০, এসইসি/ সিএমআরআরসিডি/ ২০০৯-১৯৩/ ১১৯/ এডমিন/ ৩৪, ২২ নভেম্বর ২০১১ (অনুরুপ নোটিফিকেশন নং-বিএসইসি/ সিএমআরআরসিডি/ ২০০৯-১৯৩/ ২১৭/ এডমিন/ ৯০, ২১ মে ২০১৯) এবং সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ) বিধিমালা, ১৯৯৫ এর বিধি ৪, উপ-বিধি (১) ও (২) ভঙ্গ করেছেন। উক্ত আইন ভঙ্গের দায়ে মো. সামসুল হুদাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এএনএফ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নং-১১৭) কর্তৃক মো. সামসুল হুদা (আলহাজ্ব টেক্সটাইলের পরিচালক থাকাকালীন) পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ১ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৮টি শেয়ার বিক্রিতে সহযোগিতা করা হয়েছে এবং মো. সামসুল হুদা একই সাথে এএনএফ ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এএনএফ ম্যানেজমেন্ট এ ধরনের কর্মকান্ডের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর রুল ৮(১) (পপপ) এবং সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক-ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১১ এর স্টক-ডিলার, স্টক-ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধিদের জন্য পালনীয় আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন। উক্ত আইন ভঙ্গের দায়ে এএনএফ ম্যানেজমেন্টকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া আলহাজ্ব টেক্সটাইলের বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৮ ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় উক্ত অভিযোগ থেকে কোম্পানিটিকে অব্যাহতি দেয়া হয়। আর আলহাজ্ব টেক্সটাইলের শেয়ার লেনদেনের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ‘স্পট মার্কেট’ এ লেনদেনের আদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।
‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির মোট শেয়ারের ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ার, সরকারের কাছে রয়েছে দশমিক ০৩ শতাংশ এবং ৭৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩৭৪ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged