আয় বাড়লেও ১৮ বিমা কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে

সময়: বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১৪, ২০১৯ ৯:২৩:০১ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের অধিকাংশ কোম্পানির আয় তৃতীয় প্রান্তিকে বাড়লেও কমেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ। গত অক্টোবর মাসের খাতটির ১৮ কোম্পানি থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) হালনাগাদ হিসাবে এ তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্যমতে, ডিএসইতে বিমা খাতের ৪৭টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত আছে। কোম্পানিগুলোর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে নয় মাসে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) এর তথ্য প্রকাশ করছে। এ পর্যন্ত ৩৫টি প্রতিষ্ঠান তাদের প্রান্তিক প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ২৬টির আয় বেড়েছে, কমেছে ৯টির।
এদিকে, গতকাল পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ৩২টি কোম্পানির অক্টোবর মাসের তথ্য হালনাগাদ করেছে ডিএসই। এর মধ্যে আলোচ্য মাসে ১৮টি কোম্পানি থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে। এ সময় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ৯টি কোম্পানিতে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টি কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ।
যেসব কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে সেগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, জনতা ইন্স্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইসলামি ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে জুনে হিসাব বছর শেষ হওয়া কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশের মৌসুম চলছে। বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর ডিসেম্বর মাসে হিসাব বছর শেষ হবে। বর্তমানে কোম্পানিগুলো তাদের প্রান্তিকের তথ্য প্রকাশ করছে, এতে তাদের আয়ের যে তথ্য প্রকাশ করছে তাতে বিনিয়োগকারীরা বিমা খাতের কোম্পানির শেয়ার দরে আগ্রহ বাড়বে। তারা আরও বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বুঝে শুনে, নানা দিক বিবেচনা করে, কোম্পানিগুলোর তথ্য বিশ্লেষন করে বিনিয়োগ করে থাকেন। যেখানে কোম্পানিগুলোর আয়ে ইতিবাচক খবর রয়েছে সেখানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকা শেয়ার কিছু কিছু বিক্রি করে দিচ্ছে। এতে এসব কোম্পানি ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। অতীতে দেখা গেছে, কোম্পানিগুলোর নিরীক্ষিত প্রতিবেদন প্রকাশের পর আয়ে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি থাকে না। এতে বিনিযোগকারীরা প্রত্যাশিত মুনাফা পায় না।
এ সম্পর্কে শীর্ষস্থানীয় একটি ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ‘দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন’ কে বলেন, বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর উপর আস্থা রাখা কঠিন। ২০১০ সালে এসব কোম্পানির শেয়ার দরের অতি মূল্যায়নের কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিনিয়োগকারীরা। এদিকে, দীর্ঘ মন্দার কারণে সব ধরনের বিনিয়োগকারীদেরই পুঁজি বাজারে আটকে গেছে। মাঝে মধ্যে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর সময় কিছুটা মুনাফা করতে চায় বিনিয়োগকারীরা। এ কারণে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিযোগকারীদের হাতে থাকা শেয়ার কিছুটা কমেছে। তবে বিমা খাতের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এ খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ছে। একই সঙ্গে বিনিয়োগও বাড়বে বলে মনে করছেন তিনি।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩৩৩ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged