ইন্ট্রাকোর আইপিও তহবিলের ব্যবহার খতিয়ে দেখবে বিএসইসি

সময়: শনিবার, জুলাই ২, ২০২২ ৫:৪৬:০৯ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে সংগ্রহীত অর্থের ব্যবহার খতিয়ে দেখবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এজন্য বিশেষ নিরীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। এই লক্ষ্যে বিএসইসি তার প্যানেলভুক্ত নিরীক্ষা ফার্মগুলোর কাছে অফার লেটার চেয়ে একটি চিঠি প্রেরণ করেছে। নিয়োগকৃত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের গত দুই বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পুন:নিরীক্ষা করবে।

জানা যায়, ২০১৮ সালে কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। সংগৃহীত অর্থে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় একটি বোতলজাত কারখানা স্থাপনের কথা ছিল।

কিন্তু কোম্পানিটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বোতলজাত কারখানা স্থাপন না করে কুমিল্লার সদর দক্ষিণে একটি নতুন প্রতিষ্ঠিত তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) প্ল্যান্ট কিনে নেয়।

চল্লিশ হাজার বর্গফুট আয়তনের এলপিজি বোতল প্ল্যান্টটিতে দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ২ হাজার এলপিজি সিলিন্ডার। এই প্ল্যান্টটি কিনতে কোম্পানিটির মোট ব্যয় হয়েছে ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন ২০২১-২২ অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ ক্যাশ ও ৮ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) কোম্পানিটির রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৯ কোটি ৯ লাখ টাকা। এই সময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪ কোটি ৯ লাখ টাকা। আলোচ্য ৯ মাসে সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫৯ পয়সা।

৩১ মার্চ, ২০২২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৯০ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১২ টাকা ১৭ পয়সা।

সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ি, কোম্পানিটির মোট শেয়ার রয়েছে ৯ কোটি ৮২ লাখ ৩২ হাজার ৭৫০টি। এরমধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩০.৬৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫.০১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫৪.৩৩ শতাংশ।

কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২৫ টাকায়। সেই হিসাবে এর পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ২৫.৬৮ পয়েন্টে।

দেশের এলপিজি চাহিদা ও ব্যবহার:
দেশে বর্তমানে এলপিজির বাজার দ্রুত বাড়ছে। বাংলাদেশ এলপিজি অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে এলপিজির বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১২ লাখ টন। যার মধ্যে ৯৯ শতাংশ চাহিদা আমদানির পূরণ করা হয়।

বর্তমানে এলপিজি সিলিন্ডার মূলত চীন থেকে আমদানি করা হচ্ছে। তবে স্থানীয়ভাবে বসুন্ধরা এলপিজি লিমিটেড, বিএম এনার্জি (বিডি) লিমিটেড, ওমেরা এলপিজি লিমিটেড, টিকে সিলিন্ডার লিমিটেড, পেট্রোম্যাক্স সিলিন্ডার লিমিটেড, জি-গ্যাস এলপিজি লিমিটেড, নাভানা এলপিজি লিমিটেড, যমুনা স্পেসটেক লিমিটেড, ইউনিভার্সিটি লিমিটেড, ফ্রেশ এলপিজি লিমিটেড, ডেল্টা এলপিজি লিমিটেড, ইউনিটেক্স এলপিজি লিমিটেড এবং জিএমআই এলপিজি লিমিটেড বাংলাদেশে এলপিজি ব্যবসায় নেমেছে।

 

Share
নিউজটি ২৫০ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged