এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড : কারণ ছাড়াই এক মাসে দর বেড়েছে ৪০০ গুন

সময়: মঙ্গলবার, জুলাই ৩০, ২০১৯ ৪:২৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : কোনো কারণ ছাড়াই দর বাড়ছে ‘এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড’-এর। এক মাস আগে এই মিউচ্যুয়াল ফান্ডটির প্রতি ইউনিটের দর ছিল ১০ টাকা ৮০ পয়সা। গতকাল সোমবার সর্বশেষ এটি লেনদেন হয়েছে ৪৪ টাকায়। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে মিউচ্যুয়াল ফান্ডটির দর বেড়েছে ৪০০ গুন।
এর আগে গত রোববার ফান্ডটি সর্বোচ্চ ৪৮ টাকা ৮০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। যা গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দর। অন্যদিকে এক বছরের মধ্যে ফান্ডটির সর্বনিম্ন দর ছিল ৪ টাকা ৫০ পয়সা।
এদিকে অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণে গত ১৪ জুলাই ফান্ডটির সম্পদ ব্যবস্থাপকদের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। জবাবে কোম্পানির পক্ষ থেকে ফান্ডটির বিষয়ে ‘কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই’ বলে জানানো হয়।
অস্বাভাবিক দর বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ফান্ডটির সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ‘স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড’-এর চিফ অপারেটিং অফিসার মোহাম্মদ শাফাতুল ইসলাম ‘দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন’-কে জানান, তাদের কাছে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। সেকেন্ডারি মার্কেটে কে বা কারা এটি লেনদেন করেÑ সেটি তাদের জানা নেই। তাদের কাছে ডিএসই একটি কোয়ারি (কারণ দর্শানো নোটিশ) দিয়েছিল। সেটির জবাবেও তারা একই তথ্য দিয়েছে।
অন্যদিকে ফান্ডটির উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান পদ্মা সিকিউরিটিজ লিমিটেড (সাবেক এফবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াদুজ্জামান হৃদয় ‘দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন’-কে বলেন, ‘স্পন্সরদের কাছে যতো শেয়ার আছে, সব লক-ইন অবস্থায় আছে। আগামী ছয় মাস পর তাদের লক-ইন খুলবে। এছাড়া কিছু লক-ইন খুলেছে, কিন্তু লভ্যাংশ ঘোষণার আগে বিক্রি করা যাবে না।’
তিনি জানান, তাদের কাছেও এ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে শেয়ার আছে, সেগুলো থেকেই বাজারে হাতবদল হচ্ছে। তারা এ বিষয়ে কোনো খবর রাখেন না।
সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বলছেন, স্পন্সরদের লক-ইন খোলার আগে তারা ইউনিটের দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে কি না এবং কোন্ ব্রোকারেজ হাউজ থেকে এ শেয়ারের লেনদেন হচ্ছেÑ সেটি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর খতিয়ে দেখা উচিত।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চে এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এ ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটেজিক ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান পদ্মা সিকিউরিটিজ লিমিটেড সাবেক ফারমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

জানা যায়, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে এ ফান্ডের মাত্র ০.১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। অবশিষ্ট ৯৯.৭৫ শতাংশই আছে উদ্যোক্তা ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে। সর্বশেষ গত রোববার প্রকাশিত ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিটি ফান্ডের সম্পদ মূল্য (এনএভি) ১০ টাকা ৬৩ পয়সা।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩৭৮ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged