ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে বোনাস ডিভিডেন্ড জমা দেওয়ার নির্দেশ

সময়: বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৫, ২০২১ ১:৫৩:৪৫ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ বা ‘শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল’ গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ইতোমধ্যে তহবিলে ক্যাশ ডিভিডেন্ডের টাকা জমা দিয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো। এবার বোনাস ডিভিডেন্ড টাকাজমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানিকে এই নির্দেশনা দেওয়ার জন্য ডিএসইকে বলেছে বিএসইসি।

একই সাথে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ (সিএমএসএফ) একটি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব খোলার জন্যও চিঠিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, বোনাস ডিভিডেন্ড বিতরণ হয়নি এমন শেয়ার শেয়ারবাজার স্থিতিশীল তহবিলে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর মধ্যে কোম্পানিগুলোকে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে’ (সিএমএসএফ) জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিএসইসি চলতি বছরের ৩ মে কমিশন সভা করে শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল বা ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২৭ জুন এ তহবিলের গেজেট প্রকাশ করা হয়।

তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিতরণ না হওয়া প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার ডিভিডেন্ড নিয়ে এ তহবিল গঠন করা হচ্ছে।

তহবিলটি পরিচালনার জন্য ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস, ২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

বিভিন্ন কোম্পানির অবিতরণ করা ডিভিডেন্ড এবং ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে তিন বছরের অধিক সময় পড়ে থাকা অর্থ ও শেয়ার এই তহবিলে স্থানান্তর করা হবে।

তিন বছরের হিসাব হবে ডিভিডেন্ড ঘোষণা বা অনুমোদনের দিন বা রেকর্ড ডেট থেকে। এক্ষেত্রে ক্যাশ ডিভিডেন্ড বা অর্থ ব্যাংক হিসাবে জমা থাকায় কোনো সুদ অর্জিত হলে, তাও এই তহবিলে দিতে হবে।

তবে তহবিলে শেয়ার বা টাকা হস্তান্তরের পরও তা দাবি করতে পারবেন সংশ্নিষ্ট বিনিয়োগকারী।

নিজের দাবির প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি বা ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনের এক মাসের মধ্যে ওই বিনিয়োগকারীর শেয়ার বা টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

তহবিল থেকে বাজারের তারল্যপ্রবাহ এবং গভীরতা বাড়াতে শেয়ার কেনাবেচা বা ধার দেয়া বা ধার নেয়া হবে।

শেয়ার কেনাবেচা করতে গিয়ে যাতে তহবিলের কোনো লোকসান না হয়, তার জন্য সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন করা হবে, থাকবে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও অডিট কমিটি।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

 

Share
নিউজটি ৩৭৯ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged