পিপলস্ লিজিংয়ের অনিয়ম প্রসঙ্গে : দুদকের ক্লিন ইমেজ পেল ক্যাপ্টেন এম. মোয়াজ্জেম

সময়: মঙ্গলবার, অক্টোবর ৫, ২০২১ ২:৫৩:৪২ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের পিপলস লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (পিএলএফএসএল) প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও পরিচালক ক্যাপ্টেন এম. মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের কোন সত্যতা পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যে কারণে সংস্থাটির পক্ষ থেকে ক্যাপ্টেন এম. মোয়াজ্জেম হোসেনকে ক্লিন ইমেজ দিয়ে অনুসন্ধান পরিসমাপ্ত করা হয়েছে। দুদকের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি অর্থমন্ত্রনালয় থেকে শুরু করে পিএলএফের চেয়ারম্যানসহ দুদকের বিভিন্ন বিভাগে পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পলাতক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) অর্থ কেলেঙ্কারীর ইস্যুতে তার সহযোগী হিসেবে পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান (২০১৫-২০১৬) উজ্জ্বল কুমার নন্দী এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক এমডি রাশেদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে দুদক। একই ইস্যুতে পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন এম. মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অন্যান্য পরিচালক জড়িত থাকার সন্দেহও করা হয়। যে কারণে তদন্তের স্বার্থে দুদকের পক্ষ থেকে মোয়াজ্জেম হোসেনের বিদেশ গমনেও নিষেধাজ্ঞা আনা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন অনুসন্ধানের পর ক্যাপ্টেন এম. মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোন প্রমাণ পায়নি দুদক। সে কারণে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পরিসমাপ্ত করে সংস্থাটির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।

একই সঙ্গে ক্যাপ্টেন এম. মোয়াজ্জেমের বিদেশ গমন রহিতকরণও প্রত্যাহার করে নিয়েছে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) এর বরাবর পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দুদকের ক্লিন ইমেজ পাওয়ার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি নীতি অধিশাখা থেকেও ক্যাপ্টেন এম. মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পরিসমাপ্ত করে তা নিষ্পত্তি করা হয়েছে বলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র সচিবসহ জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় ও দুদকের সচিবের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পিএলএফের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন এম. মোয়াজ্জেমের সঙ্গে কথা বললে তিনি দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিনকে জানান, একটি তালিকাভুক্ত কোম্পানি (পিএলএফ) যেখানে গ্রাহকের আমানত এবং শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষায় আমি দীর্ঘদিন কাজ করেছি। আমার সময়ে কোম্পানিটির অনেক উন্নীতি হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি চালানোর ক্ষেত্রে যখন আমার আর সম্পৃক্ততা ছিল না তখন প্রতিষ্ঠানটির ওপর একদল স্বার্থান্বেসী মহল কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটির অর্থ কেলেঙ্কারীর অভিযোগে অনেকের সঙ্গে আমাকেও সন্দেহ করে নানা অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। কিন্তু দুদকের দীর্ঘদিন অনুসন্ধান শেষে আমার বিরুদ্ধে আনীত কোন অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই দেশের দুর্নীতি দমনে শীর্ষ সংস্থাটির পক্ষ থেকে আমাকে ক্লিন ইমেজ দেওয়া হয়। সত্যের জয় সবসময় আর মিথ্যাও বেশিদিন টিকে থাকে না বলে জানান ক্যাপ্টেন এম. মোয়াজ্জেম।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৬৩৬ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged