পুুঁজিবাজারে তারল্য ও সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ

বন্ড ইস্যু করে বড় তহবিল সংগ্রহ করতে চায় আইসিবি

সময়: বুধবার, জানুয়ারি ২৭, ২০২১ ২:০১:৩০ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১০ সালের মহাধসের পর থেকে তারল্য সঙ্কটে দেশের পুঁজিবাজার। পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় নেয়া হয়েছে প্রনোদনাসহ ইতিবাচক নানা পদক্ষেপ। এতেও বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। বর্তমানে বাজার কিছুটা স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। কিন্তু বাজারের আকার বড় হয়ে যাওয়া এবং নানা সমস্যার নিজেই কারণে তেমনা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারছেনা। এমন অবস্থায় পুঁজিবাজারে তারল্য সঙ্কট কাটাতে এবং নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বন্ড ইস্যু করে বড় তহবিল সংগ্রহ করতে চাচ্ছে তারা। সুইজারল্যান্ডের একটি ব্যাংক এমন বন্ডে বিনিয়োগের আগ্রহও দেখিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) বন্ড ইস্যুর বিষয় নিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এতে বিএসইসির কমিশনার, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আইসিবির চার সদস্যের প্রতিনিধি ও শেয়ারবাজার ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের পরামর্শক সুইস নাগরিক জুলিয়ান উপস্থিত ছিলেন। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, বন্ড ছেড়ে ১০০ কোটি ডলার (স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা) সংগ্রহ করার বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি হয়েছে। সংগ্রহ করা এই তহবিলের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পুঁজিবাজারের কাজে লাগানো হবে। তা থেকে মার্জিন ঋণদাতা (গধৎমরহ খড়ধফ) প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাশ্রয়ী তহবিলের যোগান দেওয়া হবে, যাতে এসব প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহক তথা বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ার কেনার জন্য কম সুদে ঋণ দিতে পারে।

জানতে চাইলে বিএসইসির মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে নানাভাবে চেষ্টা করছে বিএসইসি। আইসিবি এবং অন্যান্য মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ তারই একটি অংশ।

তিনি বলেন, আলোচিত বন্ডের কুপন হার হবে ৩ শতাংশ। বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা তহবিল থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে আইসিবির উচ্চ সুদের ঋণ পরিশোধে। আর ৩ হাজার কোটি টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য রাখা হবে। বাকি তহবিল তথা ৪ হাজার কোটি টাকা থেকে মার্জিন ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বল্প সুদের ঋণের মাধ্যমে সাশ্রয়ী তহবিল যোগান দেওয়া হবে।

বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে, আলোচিত তহবিল থেকে ৭/৮ শতাংশ সুদ হারে মার্জিন ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ দেওয়া হবে। আর তাতে মার্জিন ঋণে বিএসইসির বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ সুদ হার বাস্তবায়ন খুবই সহজ হবে প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩০২ বার পড়া হয়েছে ।