বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে জার্মানিদের বিনিয়োগ করার আহ্বান

সময়: সোমবার, অক্টোবর ৩০, ২০২৩ ১০:৫২:০৩ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : জার্মান ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) জার্মানির বার্লিনে ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার : বাংলাদেশ -ফ্রান্স ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ শীর্ষক রোডশো’তে ভিডিও চিত্র উপস্থাপনার সময় তিনি এই আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য যে, বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের নিকট বাংলাদেশের শেয়ারবাজার এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরার লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধারাবাহিকভাবে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ এর আয়োজন করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় জার্মানির বার্লিনে এই সামিট আয়োজন করা হয়।

বিএসইসি এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডার) যৌথভাবে এই রোডশো’র আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ভোগৌলিক দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পাশে চীন এবং ভারত রয়েছে। দক্ষিণে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনামের মতো টেকসই অর্থনীতির দেশগুলোর অবস্থান। তাদের টেকসই অর্থনীতি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে জার্মানি আমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক সহযোগী। জার্মানি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোষাক আমদানিকারক দেশ। এর অর্থ আমরা (বাংলাদেশ ও জার্মান) অলরেডি একসঙ্গে কাজ করছি।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশও জার্মানি থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে থাকে। সাধারণত জার্মান থেকে আমরা বিভিন্ন মেশিনারিজ পণ্য আমদানি করে থাকি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন খাতে জার্মান ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করছে। জার্মানের ৮টি এনজিও প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়াও জার্মানের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে অলরেডি ব্যবসা করছে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, এক সময় আমরা সিমেন্ট আমদানিকারক দেশ ছিলাম। আর এখন আমরা সিমেন্ট রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছি। আমাদের সিমেন্ট খাতে ৩৭টি কোম্পানি ব্যবসা পরিচালনা করছে। আমাদের ৩৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন সিমেন্টের চাহিদার বিপরীতে আমরা ৫৮ মিলিয়ন টন সিমেন্ট উৎপাদন করছি। ফলে সহজেই রপ্তানি করা যাচ্ছে।

জার্মানের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিনিয়োগবান্ধব সরকার এবং রাজস্ব নীতির কারণে জার্মানির বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে সহজেই বিনিয়োগ করতে পারেন। এখানে মুনাফাসহ বিনিয়োগ প্রত্যাবর্তনের জন্য কোন প্রাক-অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না।

জার্মানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসাইন ভূইয়া, ফরেন ট্রেড অ্যান্ড মেম্বার অব দ্য এক্সিকিউটিভ বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ড. ভোলকের ট্রেইরর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

Bangladesh- Germany Trade & Investment Summit-এ বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং একটি ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জার্মান কোম্পানি ‘HMS Bergbau AG’ এর সাথে বাংলাদেশী কোম্পানি ‘ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লি. পিএলসি’র সমঝোতা স্মারক (MoU) বিনিময় হয়।

Share
নিউজটি ১১৩ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged