বাতিল হতে পারে বেক্সিমকো সুকুক বন্ড

সময়: মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১ ২:৫৩:৫৮ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহি পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম গণ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তৃতীয় দফায় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত সময়ে যদি সাবস্ক্রিপশন জমা না পরে, তাহলে বন্ড বাতিল হয়ে যাবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, তৃতীয় দফায় আরো চলতি মাস বা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর হয়েছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) সুকুক বন্ডের সাবস্ক্রিপশনের সময়। এর আগে দ্বিতীয় দফায় ১০ কার্যদিবস বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু এরপরেও বন্ডটিতে আবেদন জমা না পড়ায় তৃতীয় দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে বেক্সিমকোর ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ডের মধ্যে পাবলিক অফারে ৭৫০ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য গত ১৬ আগস্ট চাদাঁ সংগ্রহ শুরু করে। প্রথম দফায় নির্ধারিত সর্বশেষ সময় ছিল ২৩ আগস্টের বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। ওই সময়ে বন্ডটির চাহিদার ৭৫০ কোটি টাকার বিপরীতে বিনিয়োগকারীরা মাত্র ৫৫ কোটি ৬১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার বা ৭.৪১৫% আবেদন করেন। এতে ৭১ জন বিনিয়োগকারী আবেদন করেন।

সময় বাড়ানোর পরে বেক্সিমকোর বন্ডটিতে বর্ধিত সময়ে মাত্র ১ জন বিনিয়োগকারী আবেদন করেছেন। যাতে করে ৭৫০ কোটি টাকার চাহিদার বিপরীতে মাত্র ৫৫ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার বা ৭.৪২৯% আবেদন জমা পড়েছে। অর্থাৎ বর্ধিত সময়ে ১ জন ১০ লাখ টাকার আবেদন করেছেন। কিন্তু চাহিদা পূরণে ঘাটতি রয়েছে ৬৯৪ কোটি ৩৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকার।

উল্লেখ্য, বেক্সিমকোর প্রস্তাবিত গ্রিন সুকুকটির আকার ৩ হাজার কোটি টাকার। এরমধ্যে ৭৫০ কোটি টাকা আইপিওতে উত্তোলনের জন্য বরাদ্দ। বাকি ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকার প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। এরমধ্যে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের থেকে ৭৫০ কোটি টাকা এবং অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের থেকে ১৫০০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য বরাদ্দ।

জানা যায়, গত ২৩ জুন কতিপয় শর্তসাপেক্ষে বিএসইসি বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩ হাজার কোটি টাকার ৫ বছর মেয়াদী সিকিউরড কনভার্টেবল অথবা রিডেম্বল অ্যাসেট ব্যাকড গ্রিন সুকুক এর প্রস্তাব প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়।

এই সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে ৩ হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করে বেক্সিমকো লিমিটেডের টেক্সটাইল ইউনিটের কার্যক্রম বর্ধীতকরণ এবং বেক্সিমকো দুটি সরকার অনুমোদিত সাবসিডিয়ারি নবায়ন যোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের (তিস্তা সোলার লিমিটেড এবং করতোয়া সোলার লিমিটেড) বাস্তবায়নের পাশাপাশি পরিবেশ উন্নয়ন এবং সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে চায়।

এই সুকুকের প্রতি ইউনিটে অভিহিত মূল্য ১০০ টাকা। সুকুকটির নূন্যতম সাবস্কিপশন ৫ হাজার টাকা ও নূন্যতম লট ৫০টি। সুকুকটির সর্বনিন্ম প্রিয়ডিক ডিস্ট্রিবিউশন রেট ৯ শতাংশ।

সুকুকটির ট্রাস্টি হিসেবে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এবং ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে যথাক্রমে সিটি ব্যংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস ও অগ্রণী ইক্যুইটি এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কাজ করছে।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ২৮০ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged