বিএটিবিসির ইজিএমের তারিখ ঘোষণা

সময়: সোমবার, মার্চ ২৭, ২০২৩ ৭:৩২:২৬ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিএটিবিসির (ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড) ইজিএমের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) করপোরেট গভর্ন্যান্স কোড অনুসারে বোর্ডে কোম্পানিটির পরিচালকের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এজন্য কোম্পানির সংঘবিধিতে সংশোধনী আনতে ২৯ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি।

সভায় এ ইস্যুতে বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নেয়া হবে।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০০ শতাংশ চূড়ান্ত ক্যাশ ডিভিডেন্ডের সুপারিশ করেছে বিএটিবিসির বোর্ড।

ঘোষিত ডিভিডেন্ড ও আলোচ্য অর্থবছরের অন্যান্য এজেন্ডায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে ২৯ মার্চ বেলা ১১টায় ডিজিটাল মাধ্যমে বার্ষিক এজিএম করবে কোম্পানিটি।

এ-সংক্রান্ত রেকর্ড তারিখ ছিল ২ মার্চ।

এর আগে আলোচ্য অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে শেয়ারহোল্ডারদের ১০০ শতাংশ ক্যাশ অন্তর্র্বতী ডিভিডেন্ড দিয়েছে কোম্পানিটি।

২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৩ টাকা ১০ পয়সা।

আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২৭ টাকা ৭২ পয়সা।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭৬ টাকা ২৭ পয়সায়।

আগের অর্থবছর শেষে যা ছিল ৬৮ টাকা ১৩ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের মোট ২৭৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে কোম্পানিটি।

এর মধ্যে ১৫০ শতাংশ ক্যাশ চূড়ান্ত ও বাকি ১২৫ শতাংশ অন্তর্র্বতীকালীন ক্যাশ ডিভিডেন্ড।

আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৭ টাকা ৭২ পয়সা, আগের অর্থবছরে যা ছিল ২০ টাকা ১৬ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৬৮ টাকা ১৩ পয়সা।

আগের অর্থবছর শেষে যা ছিল ৬২ টাকা ৯৬ পয়সা।

২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫০০ শতাংশ চূড়ান্ত ডিভিডেন্ড দিয়েছিল কোম্পানিটি।

এর মধ্যে ৩০০ শতাংশ ক্যাশ ও ২০০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড।

এর আগে আলোচ্য অর্থবছরের প্রথম ৩ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৩০০ শতাংশ অন্তর্র্বতীকালীন ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

সব মিলিয়ে ওই অর্থবছরের জন্য ৮০০ শতাংশ ডিভিডেন্ড পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৬০ টাকা ৪৮ পয়সা, আগের অর্থবছরে যা ছিল ৫১ টাকা ৩৭ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর ২০২০ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৮৮ টাকা ৮৯ পয়সা।

আগের অর্থবছর শেষে ছিল ১৯৮ টাকা ৮৫ পয়সা।

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড ১৯৭৭ সালে দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।

কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনও একই।

রির্জাভে রয়েছে ৩ হাজার ১৪১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৫৪ কোটি।

এর মধ্যে ৭২.৯১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, দশমিক ৬৪ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার, ১২.৮৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ৬.২৫ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৭.৩৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

 

Share
নিউজটি ১২৩ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged