ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ড ও জীবন বীমা কর্পোরেশনের মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি সম্পন্ন

বিদেশগামী কর্মীদের জন্য বিমা চালু হচ্ছে ১৯ ডিসেম্বর

সময়: রবিবার, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯ ১০:২৭:৩১ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে বিদেশগামী কর্মীদের জন্য বাধ্যতামূলক চালু হচ্ছে বিমা। দুই বছরের জন্য মাত্র ৪৯০ টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে ২ লাখ টাকার বিমা পলিসি করার সুবিধা পাবেন কর্মীরা।
গত ১১ ডিসেম্বর বুধবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিদেশগামী কর্মীদের জন্য জীবন বিমা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিষয়ে ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ড ও জীবন বীমা কর্পোরেশনের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়। ওই চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, জীবন বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শেলীনা আফরোজা (পিএইচডি) বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সদস্য ড. মো. মোশাররফ হোসেন, ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ জুলহাস, জীবন বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুল হকসহ জীবন বীমা কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার ও মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বিমা সেবাটি চালু হওয়ার পর জীবন বীমা করপোরেশন ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে এ ব্যবস্থার সার্বিক পর্যালোচনা করবে। সংস্থাটি ৯ মাস পর বিমাগ্রহীতার সংখ্যা, বিমা অঙ্ক, বিমা দাবির সংখ্যা, বিমা দাবি নিষ্পত্তির সংখ্যাসহ পুরো ব্যবস্থার কার্যকারিতা তুলে ধরবে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কাছে। মন্ত্রণালয় পরে তা পর্যালোচনা করবে। গত ২৫ নভেম্বর এ-সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
পরিপত্র বলছে, বিদেশগামী কর্মীদের বহির্গমন ছাড়পত্র নিতে জীবন বিমা পলিসি গ্রহণ বাধ্যতামূলক বলে বিবেচিত হবে। বিদেশগামী কর্মীদের ছাড়পত্রের জন্য প্রদেয় অন্যান্য ফি’র সঙ্গে প্রযোজ্য বীমা প্রিমিয়াম প্রদান করতে হবে। তবে দু’টি বিমা পলিসি’র যেকোনো একটি বেছে নিতে পারবেন কর্মীরা।
১৪ অক্টোবর ‘প্রবাসী কর্মী বিমা নীতিমালা’ নামে একটি নীতিমালা জারি করে বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ।
নীতিমালাটি করা হয়েছে ১৮ থেকে ৫৮ বছর বয়সীদের জন্য। প্রথম দফায় প্রথমবার বিদেশগামী কর্মীদের এই সেবার আওতায় আনার কথা চিন্তা করা হচ্ছে। বয়সভেদে প্রিমিয়ামের হার কমবেশি হয়ে থাকলেও প্রবাসী কর্মীদের ক্ষেত্রে একই প্রিমিয়াম ধরা হয়েছে। পলিসি হবে দু’ধরনের- দু’লাখ ও পাঁচ লাখ টাকার। পলিসির মেয়াদ দু’বছর। তবে বিদেশে অবস্থানকালে নিজ অর্থায়নে আরও দু’ বছরের জন্য পলিসি নবায়ন করার সুযোগ থাকছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, ২ লাখ টাকার পলিসির ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম ৯৯০ টাকা। আর ৫ লাখ টাকার পলিসির ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম ২ হাজার ৪৭৫ টাকা। উভয় পলিসির ক্ষেত্রেই সরকার দেবে ৫০০ টাকা। ৯৯০ টাকা প্রিমিয়ামের মধ্যে বিমাগ্রহীতাকে দিতে হবে ৪৯০ টাকা। আর অন্যটিতে বিমাগ্রহীতাকে দিতে হবে ১ হাজার ৯৭৫ টাকা।
পলিসি কার্যকর থাকা অবস্থায় বিমা গ্রহণকারী মারা গেলে তার বৈধ উত্তরাধিকারী বিমার টাকা পাবেন। তবে আত্মহত্যা, এইচআইভি বা এইডসের কারণে মৃত্যু, মাদকাসক্তি বা আইন লঙ্ঘনের কারণে মৃত্যু দণ্ড হলে এ টাকা দেয়া হবে না। বীমা মেয়াদের মধ্যে কোনো কর্মী আহত হয়ে পরবর্তী সময়ে ৯০ দিনের মধ্যে মারা গেলে তার উত্তরাধিকারীকে মূল বিমা অঙ্কের টাকা পরিশোধ করা হবে। তবে বিমাগ্রহীতা দুর্ঘটনাজনিত স্থায়ী, সম্পূর্ণ বা আংশিক অক্ষমতার জন্য কোনো প্রকার ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকলে সেই পরিমাণ অর্থ বাদ দিয়ে বাকি টাকা দেয়া হবে।
দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩৭৯ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged