ব্যাংকিং খাতে তারল্য বাড়ছে

ব্যাংকিং সেক্টরে তারল্য ৩ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা

সময়: মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০ ১২:৩৮:২০ পূর্বাহ্ণ


সাইফুল শুভ : দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলে এই মুহূর্তে কোনো তারল্য সংকট নেই। ব্যাংকিং খাতে ৩ লাখ ১০ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা তারল্য রয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে নগদ রিজার্ভ অনুপাত (সিআরআর) ও সংবিধিবদ্ধ তারল্য অনুপাত (এসএলআর)-এর অতিরিক্ত আরও এক লাখ ৫ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা রয়েছে।
তারল্য সঙ্কট না থাকলেও ব্যাংকিং খাত থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ছে না। বিষয়টি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংক ছাড়া বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

সদ্য বিদায়ী ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে জুন মাসের তুলনায় ৩৯ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা তারল্য বা নগদ অর্থ বেড়েছে। স্থানীয় মুদ্রা ও বৈদেশিক মুদ্রায় এসব অর্থ রয়েছে।

এর মধ্যে সিআরআর বাবদ রয়েছে ৬৮ হাজার ২১১ কোটি টাকা। অবিনিয়োগকৃত নগদ টাকা ১০ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা। বৈদেশিক মুদ্রা হিসেবে আছে ১১ হাজার ১৩২ কোটি টাকা।

বিগত ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত ছিল তারল্য ছিল ২ লাখ ৭১ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা। এদিকে চলতি বছরে শুধু সোনালী ব্যাংকেই তারল্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা।

যদিও এই মুহূর্তে ব্যাংকিং খাতে সর্বনিম্ন ২ লাখ ৫ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা তারল্য হলেই চলে। সে হিসেবে এক লাখ ৫ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত আছে।

পুঁজিবাজার ও অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোর মতো বেসরকারি ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানো উচিত। তাহলে পুঁজিবাজারে গতিশীলতা ফিরে আসবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি বন্ড মার্কেট চালু থাকতোÑ তাহলে ব্যাংকগুলো স্বল্প সময়ের জন্য হলেও বিনিয়োগ করতে পারতো। কিন্তু‘ বন্ড মার্কেট না থাকায় বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে চায় না। বিনিয়োগের ঝুঁকি ও বাজারের অস্বাভাবিক আচরণের কারণে এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুঁজিবাজার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক ড. আবু আহমেদ দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিনকে বলেন, ব্যাংকিং খাতে উদ্বৃত্ত তারল্য আছে, এটি সত্য। এই মুহুর্তে কোনো তারল্য সঙ্কট নেই। তারপরও ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ করছে না। অনেক আগে থেকেই বলা হচ্ছে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগ করতে হবে।

কি কারণে বিনিয়োগ হচ্ছে না জানতে চাইলে ড. আবু আহমেদ বলেন, কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগে ভাল রিটার্ন আসে না। এটি হয়তো একটি কারণ হতে পারে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে তালিকাভুক্ত হওয়া নতুন কোম্পানিগুলো সর্বশেষ প্রান্তিকে ভাল মুনাফা দেখায়নি। বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে ভাবতে হবে।

দৈনিক শেয়ারবাজার প্রতিদিন/এসএ/খান

Share
নিউজটি ৩৪২ বার পড়া হয়েছে ।
Tagged